Tuesday, April 23, 2013

আবদার

গান গাওয়ার সুবাদে অনেক ধরনের মানুষের সাথে বন্ধুত্ত হয়। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বেশ আপনও হয়ে যায় মাঝে মাঝে। এটার যেমন বেশ কিছু ভালো দিক আছে, আবার খারাপ দিকও আছে। অনেক ধরনের আবদার শুনতে হয়। "বস, আমার ভাই এর হলুদ। গিটার টা নিয়ে চলে আসবেন আগামিকাল। গান গাইতেই হবে কিন্তু"। এইসব 'সিচুয়েশন' সামলানো বেশ ঝামেলার। মানে ব্যপারটা অনেকেটা এরকম... কোন ডাক্তার এর সাথে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা হয়ে গেল। "ওহ আপনি ডাক্তার? শুনেন, আমার লাস্ট এক সপ্তাহ ধরে হাগু হচ্ছেনা। কি ওষুধ খাওয়া যায় বলুন তো?"। মানে কি! ডাক্তার দেখলি আর কন্সটিপেশনের কথা মনে পইরা গেল? হাগু হয় না তো বিরিয়ানি খাইতে আইছেন ক্যান ভাই? আমার বেশ কিছু কাছের মানুষ আছে যারা চমৎকার ফটোগ্রাফার। তাই বলে কি আমি তাদের গিয়ে বলব? "ওই শোন... আমার কন্সার্টের ছবি তুইলা দিস তো কয়েকটা। ভালো কইরা তুলবি। দেখতে যাতে টনি স্টারকের মতন দেহায়। বুঝছস?" যাইহোক, এইসব ব্যাপার নিয়ে মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে কিন্তু এটা আসলে তেমন বিরক্তিকর কিছু না। ব্লগ লিখতে হবে তাই একটু এক্সট্রা 'বিরক্তি' টপিং দিচ্ছি লেখাতে। এছাড়াও ব্লগ লেখার সময় একটু রাগ রাগ ভাব রাখতে হয়। এটার নিয়ম আছে। যাইহোক, অনেকবার 'যাইহোক' বলে কথা শুরু করলাম। অনেক কথা বললাম। এখন আমার এক ফ্রেন্ড এর সাথে আমার একটা টেলিফোনে কথোপকথন দিয়ে আজকের লেখা শেষ করছি। এটা লেখার পিছনে একটা কারন আছে। আজকে যেই বিষয় নিয়ে আলাপ করলাম, সেটার সাথে এই কথোপকথনের কিছুটা মিল আছে। আমার ফ্রেন্ড এর একটা 'আবদার' এর গল্প।


মুমু: সুমন ভাই, আপনাকে কতদিন ধরে বলতেসি আমার জন্যে একটা গান লিখেন! লিখেননা কেন?

আমি: গান দিয়ে কি করবা?

মুমু: ফ্রেন্ডদের শোনাব! আমার ভাব বাড়বে তাদের সামনে! বেসবাবা গান লিখসে আমার জন্যে বুঝছস?

আমি: ওহ... আচ্ছা! তোমার জন্য গান লিখসিতো অলরেডি :|

মুমু: সত্যি! শোনান.. শোনান! প্লিজ শোনান!

আমি: শোনাবো বাট এই গানটা তোমার ফ্রেন্ডদের তোমাকে অবশ্যই শুনাইতে হবে

মুমু: অবশ্যই শোনাব!

আমি: শিওর?

মুমু: আই প্রমিস!

আমি: ওকে... তাহলে শোন.....
'এম' যদি 'এন' হতো আর 'এক্স' যদি 'ওয়াই'
'মুমু' তখন পেতো মোদের আন্ডিতে ঠাই
সারাজীবন থাকতো সে যে অন্ধকারের মাঝে
ফেয়ার এন্ড লাভলী তার আর মাখতে হতো না যে

মুমু: আপনি অনেক খারাপ সুমন ভাই!!!!

আমি: থ্যাঙ্কস... আই ট্রাই মাই বেস্ট :-)


ফুটনোট: নুনু... থুক্কু... মুমু কথা রাখেনি! সে ফ্রেন্ডদের গানটি শোনায় নি! আর সঙ্গত কারণেই নুনুর... থুক্কু... মুমুর পরিচয় টা ডিটেইল এ দিলাম না। সবাই ভালো থাকবেন। :-)

Friday, April 19, 2013

ঘুমের পরে

আমার সার্জারি সাকসেসফুল। বাইচা গেলাম আল্লাহর রহমতে। আল্লাহ ক্যান জানি আমারে বার বার বিপদ থেকে বাঁচায়। আনেস্থশিয়া নিয়া আমার একটা জতিলতা আছে। জ্ঞ্যান ফেরার সম্ভাবনা কম থাকে।  তাই সার্জারি মানেই দৌড়ের উপর থাকো। যাইহোক, ব্যাক যখন করলামি, ব্লগ লেখাটা তো চালিয়ে যেতেই হবে। সেই কবে থেকে ব্লগ লিখে চলছি (না মানে ইয়ে... ১ সপ্তাহ হইসে মনে হয়)। এতো পুরনো একটা অভ্যেস তো আর এভাবে বন্ধ করা যায় না। গত মাসে সেন্ট মারটিন্স আইল্যান্ড গিয়েছিলাম বাংলাদেশ আবহাওয়া পরিদপ্তরের হয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজে (না মানে ইয়ে...হুদাই গেসিলাম ঘুরতে, এখন একটু ভাব লইতাছি)। সেখানের দুটো বিচ্ছিন্ন ঘটনাই বরং নিচে লিখি...

বিচ্ছিন্ন ঘটনা ০১
 সমুদ্র সৈকতে বসে বসে বাতাসের গান শুনছিলাম। অদ্ভূত এক ধরনের নিস্তব্ধতার গান। নারিকেল জিনজিরা আর কক্সবাজারের মধ্যে এখানেই পার্থক্য। প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়াটা অনেক সহজ এখানে। হঠাত এই নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে দূর থেকে লাউড স্পিকারে ভেসে আসল "বুরকা পুরা মেয়ে পাগল কুরেচে"... বাল!!

বিচ্ছিন্ন ঘটনা ০২
ছেড়া দ্বীপ। দাড়িয়ে দাড়িয়ে স্রষ্ঠার তৈরী অপূর্ব এক সৃষ্টি উপভোগ করছি। কিছুক্ষণ ধরে একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। কেউ যেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার আশেপাশে অনেক মানুষ। বোঝার উপায় নেই কেউ তাকিয়ে আছে কিনা। আমার হুডি পরা। কারো আমাকে চেনার কথা না। তারপরেও চারদিকে চোখ বুলাতে বুলাতে হঠাত খুঁজে পেলাম আমার এই অনুভূতির কারণ। অপরুপা এক সুন্দরী আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে! মনে হলো কে যেন আমার মাথার পেছনে চপেটাঘাত করলো! এরকম অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গায় কোনো মেয়েকে দেখে এরকম সুন্দর লাগতে পারে আমার কল্পনাতেও ছিলনা! একেই কি বলে 'লাভ এট ফার্স্ট সাইট'? হঠাত দেখলাম মেয়েটা আমার দিকে হেটে আসা শুরু করেছে। আমি কি ঘামা শুরু করলাম? সর্বনাশ... আমিতো মনে হচ্ছে নার্ভাস! বাবা সুমন... এতদিনে বুঝি আসলেও ধরা খেলে! মেয়েটা আমার সামনে এসে দাড়ালো। ঠোটে এক চিলতে হাসি। আমার হার্টবিট জঘন্য ফাস্ট! মেয়েটা হাসতে হাসতে কি জানি বললো... প্রথমে শুনিনি কারণ তখন কল্পনায় আমি তাকে নিয়ে পাংকর আইল্যান্ড এ হানিমুন করছি! আবার তার কথায় চপেটাঘাত খেয়ে বাস্তবে ফিরে এলাম !
 "বেইয়্যা আমি আফনের ফেন! একডা ফুডো তুলি?" .... বাল!

যাইহোক, অনেক কিছু লিখে ফেললাম। আমি বরং আজ যাই। সবাই ভালো থাকবেন। এবং আমার ব্লগ কোন অবস্থাতেই সিরিয়াসলি নিয়েন না। এমনকি আমার ব্লগের সাথে উন্মাদ পত্রিকা তুলনা করলে সেটা বাংলাদেশের বাজেট এর বই এর মত সিরিয়াস একটা জিনিস। আমার ব্লগ এতটাই 'হুদাই'। ধন্যবাদ।

Wednesday, April 17, 2013

ঘুমের আগে...

কি লিখা যায় ভাবছি বেশ কিছুক্ষন ধরে। আর ১৪ ঘণ্টা পর বেশ বড় একটা সার্জারি হবে আমার। অনেকেই জিজ্ঞেস করেছে, 'টেনশনে আছেন?'। সত্যি কথা বলতে আমি একদমি টেনশনে নাই। গত ৩ বছর যে পরিমান অস্ত্রপ্রচার আমার শরীরে হয়েছে, এটা এখন ডাল ভাত টাইপের ব্যাপার! কিন্তু তারপরেও কিছু 'ভাবের' কথা না লিখলেই নয়। হাজার হোক, অবশেষে ব্লগ খুলেছি... একটা ইজ্জত আছেনা? লল। আমি বরং ৪ টা লাইন লিখে দেই... মাথায় যা আসবে তাই লিখব... তাই ছন্দে নাও মিলতে পারে...

আমি কখনো ভাবিনি আজকের দিনের মুখমুখি হব আমরা দুজনে
আমি কখনো ভাবিনি অনভুতির মাঝে কাটাকুটি খেলবো অকারণে
আমি কখনো ভাবিনি সূর্যের দিকে চোখ দুটো না কুঁচকে অবিরাম তাকিয়ে চিৎকার করে বলব, 'বিদায়'
আমি কখনো ভাবিনি অশ্রুহীন কান্না ভরা চোখে, গল্প শেষে আমার শেলাই করা মুখে বলে উঠবো, 'ভালবাসি তোমায়'


আর ১৪ ঘণ্টা পর আমি ঘুমোতে যাবো। গভীর ঘুম। ঘুম ভাঙ্গার আগ পর্যন্ত এতটুকুই থাক?
সবাই ভালো থাকুন, এই কামনায় :)

রাইটার্স ব্লক

কি লিখব বুঝতে পারছিনা । মাথায় কিছুই আসছেনা আজ... আমার কখনই এরকম হয় না... লেখালেখির ব্যাপারে কোনো কার্পন্য নেই আমার... অনেকবার এখানে এসেছি কিন্তু এই প্রথম সেন্ট মার্টিন্স আইল্যান্ড এ এসে মনে হয় রাইটার্স ব্লক দ্বারা আক্রান্ত আমি! হঠাৎ করেই এক অপরিসীম কষ্ট অনুভূত হচ্ছে ! এই কষ্টের কোনো সীমা পরিসীমা নেই ! মনে হচ্ছে কে যেন মস্তিষ্কের কোষগুলোতে জানান দিচ্ছে, "যাও! এখনি যাও! আরেকটু দেরী হলে মস্তবড় বিপদে পরবে তুমি ! এই সুন্দর পৃথিবী হয়ে যাবে নোংরা ! ভরে যাবে দুর্গন্ধে ! তুমি এখনি যাও"! আমি উঠে দাড়ালাম মনে অনেক ভয় ও সংশয় নিয়ে... আমার কি দেরি হয়ে গেল ? আমি কি পারব সময়মত আমার গন্তব্যে পৌছুতে ?

দৌড় দিলাম টয়লেটে! আহ! কি শান্তি! পেটের ভিতরে জমাটবাধা অসহনীয় কষ্ট কোথায় যেন উবে গেল! ছোট্ট এই চার দেয়ালের ঘরে বসেই আসতে থাকলো নতুন নতুন শব্দ! নতুন নতুন কবিতা! নতুন নতুন গান! নো মোর রাইটার্স ব্লক! হাগু... তোমায় ধন্যবাদ! আর বেশি ঝাল দিয়ে চটপটি খাবোনা... আই প্রমিজ!

Sunday, April 14, 2013

এসো ফটোগ্রাফি শিখি


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০১
 হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। তোমরা যখন মেয়েদের ছবি অথবা হিজ্রা মার্কা ছেলেদের (যেমন রবার্ট কুলেন) ছবি খিঁচিবে তখন অবশ্যই সফট ফোকাস করিবে। আবার যখন ছেলেদের অথবা হিজ্রা মার্কা মেয়েদের (যেমন পিঙ্ক) ছবি খিঁচিবে, তখন শার্প ফোকাসে করিবে। এতে ছবি উন্নতমানের হইবে।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০২

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। ছবি খিঁচার সময় নিজের নাম ভুলিয়া গেলেও সমস্যা নাই। তবে কোন অবস্থাতেই কেম্রার ডায়ালে "A" এর পজিশন ভুলিতে পারিবেনা! মনে রাখিবে, ডায়াল A তোমাকে সব বিপদের হাত থেকে রক্ষা করিবে। শুধু মাথায় রাখিবে 'হাত রাখিবে স্থির'! এর ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে তুমি 'সেফ' ছবি খিঁচিতে পারিবে। পরবর্তীতে প্রিভিউতে গিয়া সেটিং দেখিয়া লইবে। সবাইকে বলিবে 'M' মোডে খিঁচিয়াছ।

এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৩
 হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। সাগর অথবা সুউচ্চ পাহাড়ের উপর দাঁড়াইয়া ছবি খিঁচার সময় যদি পুরা বডি কাপতে থাকে তখন "ট্রাইপোঁদ মেথড" ব্যাবহার করিবে। ট্রাইপড স্ট্যান্ড পোঁদে ঢুকাইয়া তাহার উপর বিনা ঝামেলায় স্থির থাকিয়া ছবি খিঁচার কৌশলকেই ট্রাইপোঁদ মেথড বলা হয়।

এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৪

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। কেম্রার ম্যানুএল পরিবার কোন দরকার নাই। মনে রাখিবে, "ক্যাম্রা চালানো বোঝার চেয়ে ফটোশপের ব্যাবহার বোঝা উত্তম"।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৫

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। তোমরা অন্যের ছবির প্রশংসা করা হইতে বিরত থাকো। যদি অন্যের ছবি অতিরিক্ত ভাল লাগিয়াই যায়, তবে সেই ছবি দেখিয়া কেম্রা অথবা লেন্স এর প্রশংসা করিবে, ছবির নয়। এতে তোমার 'সুশিল ফটোগ্রাফার' ভাবমূর্তি অক্ষুন্য থাকিবে।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৬

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। তোমরা সাদা রঙের লেন্স ব্যবহার করার চেষ্টা করিবে। বাজেট না থাকিলে লেন্স সাদা রঙ করিয়া লইবে। ইহাতে কাল রঙের লেন্স ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনিদের তুমি অনায়াশে ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স ও জেলাসিতে ভুগাইতে পারিবে। মনে রাখিবে অন্যের দুখ মানেই নিজের সুখ।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৭

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। কেম্রা যাই হউক না কেন, কেম্রার ব্যাগ হইতে হইবে আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি লেভেল এর। অর্থাৎ মারুতি ইঞ্জিনে ফেরারি বডিকিট।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৮

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। নিজের ছবি খিঁচার সেলফ পোরট্রেইট খিঁচিয়া অবশ্যই ফেসবুক প্রফাইল পিক হিশেবে দিতে হইবে। নতুবা তোমার মান, ইজ্জত, ভাব এর গোয়া মারা হইবে। ছবি সাদা কাল (ইংরেজিতে যাহাকে বলে B+W) হইলে ভাল হয়।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৯

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। লালাখাল, হোলি, গরিব দুখি, কাক ও অন্যান্য পক্ষি সমগ্র, ধান ক্ষেতে একটি বালিকা, ৬ ইঞ্চি পুরু মেকাপ সম্বলিত মেয়ে মডেল, স্লো শাটার স্পিডে সমুদ্রের ঢেউ, পোকামাকড় (এই ব্যাপারে স্রিমঙ্গল এর মাকরশা বেশ বিখ্যাত), ফিশাই লেন্স এ সংসদভবন, ইত্যাদির ছবি খিঁচা অপরিহার্য।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #১০

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। তোমার ব্যাঙ্ক একাউনট না থাকিলেও অসুবিধা নাই, কিন্তু অবশ্যই, আমি আমার বলইতেছি, অবশ্যই ইন্সটাগ্রাম, ফ্লিকার, ডেভিয়েনআর্ট, ইত্যাদি তে একাউনট থাকিতে হইবে। মনে রাখিবে একাউনট থাকাটাই জরুরি, সেখানে ছবি থাকাটা নয়।

*সোর্সঃ ভেচভাভার উচ্চ ফটোগ্রাফির সিঁড়ি

Wednesday, April 10, 2013

Freedom of speech

চিন্তা করছি একটু 'ফ্রিডম অফ স্পিচ' চোদাবো :-/

Tuesday, April 9, 2013

পদ্য

তোমার ওই দু'চোখেতে কেন এত মায়া?
মনের ভিতর দেখি আজব ছায়ার মাঝে কায়া!
তোমায় যখন দিনের আলোয় দু'চোখ মেলে দেখি,
অন্যরকম গানের সুরে নতুন অনুভূতি!
তোমায় দেখে রাতের বেলায় যখন গেলাম কাছে,
কলার ছিলকায় পিছলা খাইলাম, না দেইখ্যা আন্ধারে!
ভাবছ তুমি শেষে এসে পদ্যের একি হাল?
তোর লেইগ্যা লিখি নাইক্ক্যা, আইছে চ্যাটের বাল!

Saturday, April 6, 2013

আমার কেম্রা, লালাখাল এবং হোলি

একটা সময় ছিল যখন ভাবসিলাম সিলেটের লালাখালে লাইন কইরা দাঁড়ানো নৌকার কয়েকটা ছবি তুললেই ফটোগ্রাফার হয়া যাইব। তাই নতুন ফুলফ্রেম ক্যাম্রা নিয়া দৌড় দিলাম সিলেট। কয়েকদিন পর ঢাকায় ফিরলাম পুরাই 'মারমার-কাটকাট' ফটোগ্রাফার হইয়া। মানে, ২ জিবি নৌকার ছবি তুইলা আনলাম। নৌকা দাড়ায় আসে, নৌকা হাটতাসে, নৌকা দৌড়াইতাসে, নৌকা ঘুমাইতেসে, নৌকা খেলতেসে, নৌকা লাগাইতেসে, নৌকা লংমার্চ করতেসে, নৌকা হরতাল করতেসে... মানে কিছুই বাদ নাই! আমিতো ঢাকা ব্যাক কইরা মহাখুশি। ভাবসাব পুরাই অন্যরকম! ছবি পোস্ট করার আগে ছবির কোনায় আবার লিখি 'ভেচভাভা ফুডুগ্রাফি' । মানে পুরাই ভাব! ফ্যানরাও কমেন্ট দেয়, "জোস ভচ জোস"! কিন্তু আমার এই ভাব বেশিদিন থাকলনা। কিছুদিন ধরে ফেসবুকের টাইমলাইন দেইখা যা বুঝলাম সেটা হইলো, আগেরদিন আর নাই! লালাখাল ইজ গন! বাজারে এসেছে নতুন সেন্সেশন!... হোলি!!! এখন আর আগের মত কেম্রা আর লালাখালের সামনে নৌকার ছবি থাকলে হইবনা। কিছু হোলির ছবি অবশ্যই থাকতে হবে! আর যদি একটা ছোট শিশু গায়ে মুখে রঙ মাইখা দাড়ায় আছে টাইপ ছবি যদি হয় তাহলে তো কথাই নাই! যতই যা খুশি করনা ক্যান! নো হোলি... নো কুল! আমার আবার ডিমশন হইলো! কিছুই করার নাই। এখন দেখি লালাখালের নৌকাগুলা ফটোশপে নিয়া সফটঅয়ার দিয়া আলগা রঙ বসাইয়া 'হোলি ইন লালাখাল' নামে কিছু করা যায় নাকি। হয়ত তাহলে বেপারটা বেশ হিট হইতে পারে! সবাই দোয়া করবেন। ধন্যবাদ।

প্রথম ব্লগ

শেষমেশ ব্লগ খুলেই ফেললাম। যাইহোক... এখন বরং যাই... কফি খাই। পরে আবার আসবো।