Tuesday, December 31, 2013

জি-সেভেন

সুমন ভাই, কেমন আছেন?
এইসবের মানে কি! দেশ ধ্বংস হয়ে যাইতেসে আর তুমি কিনা এইসময় আমাকে জিজ্ঞেস করতেসো আমি কেমন আছি? :(

সুমন ভাই, গেম অফ থ্রোন্স দেখেছেন?
এইসবের মানে কি! দেশ ধ্বংস হয়ে যাইতেসে আর তুমি কিনা এইসময় এইসব টিভি সিরিজ নিয়ে আলাপ শুরু করসো? :(

সুমন ভাই, কফি খাওয়ান
এইসবের মানে কি! দেশ ধ্বংস হয়ে যাইতেসে আর তুমি কিনা এইসময় কফি খাইতে চাও? :(

সুমন ভাই, নেক্সট কনসার্ট কবে?
এইসবের মানে কি! দেশ ধ্বংস হয়ে যাইতেসে আর তুমি কিনা এইসময় কনসার্ট দেখতে চাও? :(

সুমন ভাই, ভৌতিস্ট কি বের হবে না?
এইসবের মানে কি! দেশ ধ্বংস হয়ে যাইতেসে আর তুমি কিনা এইসময় ভৌতিস্ট দেখতে চাও? :(

সুমন ভাই, আপনার টেলিফোন নাম্বার টা দিবেন প্লিজ?
এইসবের মানে কি! দেশ ধ্বংস হয়ে যাইতেসে আর তুমি কিনা এইসময় আমার ফোন নাম্বার চাও?:(

সুমন ভাই, ৫০ টাকা হবে? আমি একটু ব্রোক আছি
এইসবের মানে কি! দেশ ধ্বংস হয়ে যাইতেসে আর তুমি কিনা এইসময় টাকা চাও? :(

সুমন ভাই, আপনার জন্যে ডাবল বিফ চিজ বার্গার এনেছিলাম। একটু খাবেন প্লিজ?
অবশ্যই অবশ্যই! থ্যাঙ্ক ইউ। :D
তো দেশের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? :-/
(বার্গার খেতে খেতে) আই লাভ মাই কানট্রি! উই শুড হ্যাভ বিন এ পার্ট অফ জি-সেভেন! বার্গার কি আর আছে?

Tuesday, November 19, 2013

একটি নন পলিটিকাল কবিতা (ইংরেজিতে যাকে বলে পোয়েম)

৩২ টা দাতের মাঝে আটকে গেল গোস্ত
এখন আমি করবো টা কি বলনা আমায় দোস্ত
গোস্ত যদি দাতেই থাকে পেটে যাবে কি?
খিদে যদি নাইবা মেটে অর্থহীন সবই

কাগু বলল মাংস বাজলে দিবো টুথপিক
হঠাত কাগুর চোখপালটি, বলে ধিক ধিক
এক গাছে দেখেছিলাম আপেল, কলা, মুলা
কাগু আজ শিখালো এক নতুন বিচির খেলা

এই বিচির নাই কোন বাপ, নাই কোন যে কোন মা
গাছ হবে নানা ফলের, জলপাই কি কলা
গোস্ত বেজে থাকে তবুও এই দাঁতেরই ফাঁকে
কাগুর খেলা দেখতে থাকি টুথপিকের অভাবে

Sunday, November 10, 2013

কথোপকথন-২

কয়েকদিন আগে কথোপকথন নামে একটা ব্লগ লিখেহিলাম। পাঠকরা ভালই মজা পেয়েছিল। তাই আরেকটা লিখলাম। আগের লেখাটার টাইমলাইন ছিল বেশ কয়েক বছরের। এটা বিগত কয়েক মাসের। তাই বেশি কিছু লিখতে পারলাম না।


#০১


*হ্যালো ভিহা (ভিহা মানে ভাইয়া)
*হু, বল
*আই জাস্ট বট এ ক্যাট!
*বাহ। গুড ফর ইউ :-/
*ইটস এ পাঞ্চড ফেস ব্লু অ্যান্ড হোয়াট আইড চিনচিলা পার্সিয়ান
*অ্যা! এইডা আবার কি? খায় না পিন্দে??? :-/
*উফ! ভিহা! ইটস এ ভেরি রেয়ার ব্রিড অফ ক্যাট! :D
*ওহ। ওকে। তা কত পরল?
*ফাইভ থাউজেন্ড ডলারস
*হোয়াট!!!
*ইটস এ লিটল বিট এক্সপেন্সিভ, বাট ট্রাস্ট মি! ইটস টোটালি ওরথ ইট!
*অ্যাঁ!!!
*ইটস সো অ্যাডরেবল!
*তুমি জানো? ৫০০০ ডলার দিয়া ৮ লাখ পিয়াজু কেনা যায়?
*হোয়াট?
*ইনফ্যাক্ট, তুমি চিটাগং এর পতেঙ্গা বিচে গেলে ১৬ লাখ পিয়াজু কিনতে পারতা!
*হোয়াট ইজ পিয়াজু ভিহা?
*(দীর্ঘশ্বাস)


#০২
*ভাই, সিগারেটটা না খাইলে হয় না
*কেন?
*এই বাসে তো সিগারেট খাওয়া যায় না
*ওহ, কিন্তু এটাতো সিগারেট না, এটা এয়ার ফ্রেশ্নার
*জী স্যার?
*কে জানি বার বার পাদ দিতেসে, তাই দুর্গন্ধ দূর করার জন্য সিগারেট ধরাইসি
*জী না মানে, স্যার আমরা ব্যাপার টা দেখছি আপনি একটু সিগারেটটা নিভিয়ে ফেলেন
*তাহলে আপনিও অই হালারে পাদ দিতে মানা করেন। গন্ধে নাকের বারান্দা খুইল্যা পইরা যাইতেসে!


#০৩

*সুমন ভাই, আমজনতা গানটার ইংরেজি একটা ভার্শন করলে জোস হইতো
*হু, কিন্তু আমজনতার ইংরেজি ওয়ার্ড কি হবে জানিনা
*কেন? ম্যাঙ্গ পিপল!
*নাহ, ম্যাঙ্গো বলা যাবেনা। নাশপাতি এর ইংলিশটা ইউজ কড়া যাইতে পারে
*নাশপাতি কেন?
*না মানে ব্রিটিশরা তো ধলা... আমের রঙ না।
*এইটা একটা কথা বললেন? লেইম!
*আরে নাহ! তুমি জানো না নাইজেরিয়া তে আমজনতা দের কি বলে?
*কি?
*জামজনতা
*মানে কি?
*হু। তারা অনেক কাল তো তাই
*উফ! সুমন ভাই আপনি কি খায়া ঘুমান রাতে
*আম :।


#০৪

*আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
*শিয়র
*আপনি সারারাত জেগে থাকেন কেন?
*জ্ঞানি মানুষরা রাতে জাগে আর দিনে ঘুমায়... আমি জ্ঞানি
*তাই নাকি?
*হু
*এটা কে বলসে আপনাকে?
*ভয়ঙ্কর জ্ঞানি একজন মানুষ বলসে
*নামটা জানতে পারি?
*ঐ মানুষটা আমি নিজেই
*মানে কি?
*মানে আমি যেহেতু জ্ঞানি তাই আমি আমার নিজের কথা ঠিকমতো ফলো করার চেষ্টা করি। ছোটবেলায় শুনেছি  
  জ্ঞানি মানুষদের উপদেশের দাম দিতে হয়


#০৫
*সুমন ভাই! আস্তে গাড়ি চালান! আপনে তো পাগলের মত গাড়ি চালাইতেসেন!
*আরে ব্যাপারনা!
*স্পিড লিমিট ৩০ দেয়া আর আপনে ১২০ এ চালাইতেসেন!
*কে বলসে স্পিড লিমিট ৩০?
*ঐ যে সাইনবোর্ড দেখেন নাই একটু আগে?
*আশ্চর্য! কি বলতেসো এইসব? তুমি একটা মানুস হয়ে একটা সাইনবোর্ডের কথা কিভাবে পাত্তা দাও? তোমার কি
  কোন সেলফ এস্টিম বইলা কিছু নাই?


#০৬

*সুমন ভাই, দেশের পলিটিকাল সিচুয়েশন নিয়া একটা গান লিখেন না। সবাইরে ভইরা দেন!
*'আমজনতা' তো লিখলাম কয়েকদিন আগেই!
*আরে না সুমন ভাই। ঐরকম না! আরো ডিরেক্ট লিখেন! নাম মেনশন করেন!
*আরে নাহ! মাথা খারাপ!
*কেন সুমন ভাই? আপনারা না লিখলে কারা লিখবে?
*শোন ভাই, আমি এমনিতেই সিদ্ধ ডিম খুব একটা পছন্দ করি না। কিন্তু সিদ্ধ ডিম যদি খাইতেই হয় সেটা পিছন দিয়ে 
  না খেয়ে সামনে দিয়ে খাওয়াটাই আমি বেশি প্রেফার করব! :-/


ফুটনোটঃ উপরের ব্লগটি বাংলা ফন্ট ব্যাবহার করে বাংলা ভাষায় লেখা হয়েছে। আপনাদের যাদের কাছে বাংলা ফন্ট দিয়ে বাংলা লেখা (এবং লেখকদের) 'খ্যাত' মনে হয়, তারা দয়া করে আমার প্রোফাইলে আর ঢুকবেন না। আমার কোন গান শুনবেন না। আমার সাথে কোন যোগাযোগ রাখবেন না। আমাকে ক্রিটিসাইজ বা গালাগালিও করবেন না। কারন প্রথমতঃ আমি চাই না এই ধরনের বাংলাদেশি(?) দের সাথে কোনরকম সংস্পর্শে থাকতে এবং দ্বিতীয়তঃ যারা বাংলা ফন্টকে 'খ্যাত' মনে করে তারা সবাই খা*র পোলা এবং মাইয়া! ধন্যবাদ :-)

Thursday, November 7, 2013

একটি ডিহাইড্রেটেড কাউয়া আর কলসির ভিত্রের পানির গল্প...

অনেক অনেক আগের কথা। এক দেশে ছিল এক অতিমাত্রায় মাতবর কাক। সারাদিন শুধু মাতবরি কইরা বেড়াইত। যাউকগ্যা, একদিন কাকের অনেক পানি পিপাশা পাইসিলো, কিন্তু কোন এক অদ্ভুত অজ্ঞাত কারনে সে কোথাও পানি খুইজা পাইতেসিলো না (ডোন্ট আস্ক মি হোয়াই)! যাউকগ্যা, তারপর সে হঠাৎ দেখল একটা কলসি। কলসির ভিত্রে উঁকি দিয়া সে অন্ধকারের মধ্যেও কিভাবে জানি পানি দেখতে পাইলো (ডোন্ট আস্ক মি হাউ)! কিন্তু পানি অনেক নিচে, তার মুখ কলসির ভিতর ঢুকলেও পানির নাগাল পাইতেসিলো না। কিন্তু যেহেতু ঐ কলসি ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও পানি ছিল না, তাই সেই মাতবর কাক এক অভিনব বুদ্ধি বাইর করলো (ডোন্ট আস্ক মি হাউ), কলসির পাশে কে জানি অনেকগুলা ছোট ছোট পাথর রেখে গেসিলো। সে সেই পাথর একটা একটা কইরা কলসির মধ্যে ফেল্লো। তথাপি পানিও আস্তে আস্তে উপর দিকে উঠা শুরু করলো (এটির একটি সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা আছে, না বুঝিলে বিজ্ঞান বই পড়)।
যাউকগ্যা, কাউয়া পানি খাইয়া বলিলো, "ওয়াক থুহ! কোন শালাতে হেগে রেখেছে বনরুটিতে গু"! (না, মানে এই কথা বলে নাই, এইটা অন্য গল্প। এটা মনে হয় নির্ঝর ভাইয়ের একটা ছড়ার লাইন) যাউকগ্যা, আসলে বলসিলো, "ওয়াক থুহ, এটা তো পেশাব! পানি কই???"  তারপর সেই অতিশয় মাতবর ওভারস্মারট ওয়ানাবি কাউয়া সেই পেশাব হজম করতে না পাইরা অসুখে মারা গেলো। গল্প শেষ!

মোর‍্যাল অফ দ্যা স্টোরিঃ কাউয়াদের কাউয়ার মতই থাকা উচিত! বুদ্ধিমান মানুষ হইতে চাইলে বদহজম হইবে!

Friday, September 20, 2013

আমজনতা

ইদানিং আমার সাথে আমার ফ্রেন্ড অথবা পরিচিতদের খুব কমন একটা কনভারসেশন হয়...

# সুমন ভাই, একটা কথা বলেন তো। আপনি কোন রাজনৈতিক পার্টি সাপোর্ট করেন?
# কেন বলত?
# না মানে, আপনার কথা শুনে ঠিক বুঝিনা
# যে পার্টি আমাদের দেশকে ভালবাসে, সেই পার্টিকে সাপোর্ট করি
# বুঝলাম, কিন্ত এটা কোন পার্টি?
# হাহাহাহা। আমারোতো একই প্রশ্ন। এটা আবার কোন পার্টি?

যাইহোক, এইসব ব্যাপার নিয়ে গান লিখি না। কথাও বলি না। কারন, এই ব্যাপারে আমার কথা মনে হয় বেশিরভাগ মানুষেরই পছন্দ হবেনা। কিন্ত কিছুদিন আগে হঠাৎ মাথায় একটা ব্যাপার আসলো। আমার জীবনে যত গান লিখেছি, তার সব গানই নিজের যেভাবে ইচ্ছা হয়েছে সেভাবেই লিখেছি। তাই এখন এই ব্যপারটা নিয়ে আবার এত চিন্তার কি আছে! লিখেই ফেলিনা যা মাথায় আসে! এন্ড অফ দ্যা ডে, আমি আর কে? একজন আমজনতা মাত্র। নিচে আমার নতুন লেখা একটা গান দিলাম...


আমজনতা
দিনকে বানাও রাত তোমরা, রাতকে বানাও দিন
যতই হাসি, যতই কাঁদি, সবই অর্থহীন 

নতুন নতুন নিয়ম বানাও, আমরা ভাঙবো বলে
নতুন চিন্তা ভাবতে গেলেই ভরবে মোদের সেল এ

মিথ্যে দিয়ে বাঁধাই করা বইটা যে পড়াও
আমরা যে ভাই আমজনতা, একটু ক্ষান্ত দাও 



অতীত এর সব হিসেব নিকেশ, ভবিষ্যতের মুলা 
ধর্মটাকে নেড়েচেড়ে দিচ্ছ চোখে ধুলা 

রামগরুড়ের ছানার ছিল হাসতে শুধু মানা
আমরা আজ করবটা কি, সেটাও অজানা

মুখে মোদের শেলাই দেখে, হেসে ফেলে তারাও 
আমরা যে ভাই আমজনতা, একটু ক্ষান্ত দাও



ফটোশপে মেকাপ করা আমার দেশের ছবি
আহা আমার সোনার বাংলা তোমায় ভালবাসি

হয়ে যাচ্ছি কেমন যেন, ঘৃণাই ভালবাসি
মানবতা হারিয়ে গেছে, মানুষ মরলে খুশি  

কেউবা চাটে প্রতিবেশি, কেউবা বলে 'ঘাউ'
আমরা যে ভাই আমজনতা, একটু ক্ষান্ত দাও 



তোমাদের এই চুলাচুলি ভাল্লাগেনা আর
'এক, রাজ আর গন' তন্ত্র... মিশে একাকার

তোমাদের এই কথা শুনেই নাচতে থাকি মোরা
হোক না ব্যথা পায়ের তলা, হোকনা উঠোন ব্যাকা

পাঁচ নয়, দশ বছরের হিসেব করতে দাও
আমরা যে ভাই আমজনতা একটু ক্ষান্ত দাও 



টিভির ভিতর সুশীল শিল্পী শিখায় রাজনীতি
সে ছাড়া সবাই নাকি আজ 'অবাঙালি'

নাগরিকের সনদ পত্র কোথা থেকে পাই?
নাম লেখাবো তোমার দলে? আমায় নেবে ভাই?

দেশটা আজ না খেয়ে ভাই অন্য কিছু খাও
আমরা যে ভাই আমজনতা একটু ক্ষান্ত দাও



ভাল্লাগেনা কোন কিছু? মনটা তোমার খারাপ?
ভাঙ্গতে থাক বাড়ি গাড়ি, মুছে যাবে পাপ

হলুদ রঙের কালি দিয়ে চলো 'খবর' লিখি
বিশ্বাস বা অবিশ্বাস? নাচবো মোরা ঠিকই

তোমাদের এই গোলকধাঁধায় বন্ধুত্য হারায়
আমরা যে ভাই আমজনতা একটু ক্ষান্ত দাও



দিনের পর রাতটা আসে, রাতের পরে দিন
তাল গাছ কি সারাজীবন তোমারই অধীন?

ধীরে ধীরে হচ্ছে বড় মাথায় পাগলা ঘোড়া
আখলাক ভাই বদলে গেল, বদলাবিনা তোরা?

হঠাৎ যেদিন খেপবো মোরা, বলবি তখন হায়
"আমজনতা ভাই বোনেরা আমরা এখন যাই?"


যাইহোক, গানটা ফেসবুক স্ট্যাটাসে দিয়েছিলাম আজ । মানুষের প্রশংসা শুনে আমি বেশ অবাক এবং একই সাথে খুশি । হয়ত আসলেও দেশের মানুষের মনে অনেক চেপে রাখা কথা আছে যা তারা বলতে পারেনা । হয়ত আমাদের ভিতরের পাগলা ঘোড়াটা আসলেও বেড়িয়ে আসবে একদিন, ঘৃণার পরিমান কমিয়ে ভালবাসার পরিমানটা একটু বাড়াতে পারবো, বন্ধুত্বের হিসেব নিকেশ করতে পারবো বন্ধুর দেয়া এবং নেয়া বন্ধুত্বের মর্যাদার মাপকাঠিতেই, রাজনৈতিক দলের সমর্থনের মাপকাঠির উপর নির্ভর করে নয়। হয়ত একদিন আসলেও আমাদের বোন ফেলানীকে মৃত অবস্থায় ঘন্টার পর ঘন্টা তারকাটার বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখার জন্যে নারীর অধিকারে সোচ্চার মানুষজন প্রতিবেশী দেশের অভাগীদের জন্যে যতটা চিতকার করেন, তার চেয়েও বেশি চিতকার করবেন ৷ হয়ত পাকিস্তানিদের আমাদের উপরে অত্যাচার সারাজীবন এমন ভাবে মনে রাখব, যাতে আদিবাসীরা একই কথা আমাদের নিয়ে কখনো বলতে না পারে । জয় হোক বাংলাদেশের ।

Thursday, September 5, 2013

কথোপকথন

বেশ কয়েকদিন ধরিয়া চিন্তা করিতেছিলাম নতুন ব্লগ লিখিবো। কিন্তু সময় করিয়া উঠিতে পারিতেছিলাম না। তাছাড়া কি লিখিবো সেটাও মাথায় আসিতেছিল না। চারিদিকে এত নেগেটিভিটি দেখিয়া পসিটিভ কিছু মাথায় আসেনা আজকাল। যাইহোক, আজকে ল্যাপটপটা নিয়া বসিয়াই পরিলাম। যা থাকে কপালে, আগে লিখা শুরু করি। পরে বুঝিব কোথাকার জল কোথায় গড়ায়। 

অন্য সবার মতই আমারো মাঝে মাঝে মন মেজাজ ভাল থাকেনা। তারপরেও সবার সাথে সুন্দর ভাবে কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু সবসময় সেটা সম্ভব হইয়া ওঠে না। আবার মাঝে মাঝে হয়ত খুব ফুর্তিতে থাকি। তখন কথাবার্তা হয় আবার আরেক ধরনের। এই ধরনের অতিরিক্ত মেজাজ খারাপ অথবা ফুর্তির সময় কথোপকথন গুলা বেশ ইন্টারেস্টিং হয়। আজ সেই ধরনের কিছু কনভারসেশন তুলিয়া ধরিলাম।



কথোপকথন ০১

জনৈকঃ হাই সুমন ভাই। কি করছেন?

আমিঃ কি আর করব? এক মাতারির সাথে টেলিফোনে কথা বলছি।

জনৈকঃ হাহাহাহা। আপনি যে মাঝে মধ্যে কি বলেন! আপনি তো এখন আমার সাথে কথা বলছেন! 

আমিঃ হেইডাই :-/



কথোপকথন ০২

জনৈকঃ না সুমন ভাই ... আপনার এই কথাটা আমি মানতে পারলাম না। আপনারা যা পারেন, আমরাও তা পারি !

আমিঃ শোন, তোমার কথাটাও আমি মানতে পারলাম না। আমরা এক না, ছেলে এবং মেয়ে, কখনই এক হতে পারে না। অধিকারের প্রশ্ন আলাদা, কিন্তু আমরা এরকম অনেক কিছু পারি, যেটা তোমরা জীবনেও পারবানা। এবং ব্যাপারটা ভাইস-ভারসা ।

জনৈকঃ রিয়েলি?

আমিঃ হু, রিয়েলি।

জনৈকঃ ওকে, একটা এক্সাম্পল দিন তো...

আমিঃ আমরা... মানে ছেলেরা, বিচি চুলকানোর যেই মজাটা পাই, সেটা তোমরা জীবনেও পাবানা! কোন কাজ কাম না থাকলে আমরা অনর্গল বিচি চুলকাইতে পারি। আহ! কি যে শান্তি!... যাউগ্যা... আমি এখন যাই, বিচি চুলকাই, তোমার সাথে হিন্দি চুলের আলাপ করার চেয়ে বিচি চুলকানো অনেক বেশি শান্তির, বুজছো?



কথোপকথন ০৩

জনৈকঃ আপনি কি আশিকি-২ মুভিটা দেখেছেন?

আমিঃ নাহ। আমি হিন্দি মুভি দেখি না।

জনৈকঃ আপনারা এরকম কেন বলুন তো? হিন্দি মানেই তো আর খারাপ কিছু নয়। এটা একটা ভাষা। এখন বলিয়ুড কত ভাল কোয়ালিটির মুভি বানায় জানেন?

আমিঃ শোনো, আমার হিন্দি আর উর্দু ভাষা নিয়া অ্যালার্জি আছে। এই ২ টা ভাষা শুনলেই আমার লিটারেলি গা চুলকাইতে থাকে। প্রেশার বাইরা যায়। মনে হয় সবকিছু ভাইঙ্গা ফালাই। অনেকগুলো কারনের মাঝে এটা একটা আসল কারন, এই জন্যেই আমি হিন্দি / উর্দু মুভি দেখি না। গান শোনার তো প্রশ্নই উঠে না।

জনৈকঃ এটা একটা কথা বললেন? অনেক ভাল ভাল হিন্দি গান আছে।

আমিঃ অবশ্যই আছে। বাট আমি আবার একটু দেশপ্রেমিক আছি। বুঝলা কিনা? এই জন্যে শুনি না।

জনৈকঃ এই ব্যাপারে আমার কিছু কথা আছে সুমন ভাই! আপনারা দেশপ্রেমের দোহাই দিয়া হিন্দি গান শুনেন না। কিন্তু ঠিকই ইংলিশ গান শুনেন! এইটার যৌক্তিকতা কি? 

আমিঃ হাহাহা। যুক্তি যদি চাও তাহলে অনেক যুক্তি দেয়া যায়। শোনো, আমি একজন বাংলাদেশি মিউজিশিয়ান। কত টাকা এই বাংলাদেশের মিউজিশিয়ানদের জন্য খরচ কর তোমরা? শাহরুখ খান দেশে আইসা আমাদের স্টেডিয়াম এ গানের সাথে নাচানাচি কইরা কোটি কোটি টাকা নিয়া যায়, আর তোমরা সেই নাচানাচি দেখতে যেই টাকা খরচ কর তার অর্ধেকও আমাদের পিছনে খরচ করনা। ইন্ডিয়া পাকিস্তান থেকে আমরা এই সেক্টরে কত টাকা কামাই? এইসব নিয়া কথা বললেই তোমরা বল যে তারা ভাল তাই খরচ করি। কেন? বাংলাদেশে ভাল মিউজিক হয় না? ইন্ডিয়া আর পাকিস্তান কবে বাংলাদেশের কয়টা মিউজিশিয়ান কে নিয়ে গেছে কনসার্ট করানর জন্যে? এবং নিয়ে গেলেও কত টাকা দেয়? কলকাতায় কি বাংলাদেশ ব্যান্ডের ফ্যান নাই? প্রচুর আছে! ফেসবুকে প্রচুর মেসেজ পাই ফ্যানদের কাছ থেকে। তারাও আমাদের দেখতে চায় সেখানে। তারপরেও বাংলাদেশিরা কেন ইন্ডিয়া/পাকিস্তানে শো পায় না? তারা তো বাংলাদেশিদের ডিম্যান্ড থাকা সত্তেও বেইল দেয় না। তোমাদের এত পাছা চাটাচাটি কেন? আগে তারা আমাদের কালচার/গান কে সম্মান দেয়া শিখুক দেন আশা কইরো যে আমরাও তাদের মিউজিক বা কালচার কে সম্মান দিব।



কথোপকথন ০৪

জনৈকঃ হ্যালো সুমন ভাই। চিনতে পেরেছেন?

আমিঃ না

জনৈকঃ আপনাকে ৫ টা চান্স দিলাম। বলুন তো আমি কে?

আমিঃ মুড়ি খাও! 



কথোপকথন ০৫

জনৈকঃ কোথায় ছিলেন সুমন ভাই? অনেক্ষন থেকে কল দিচ্ছি। ফোন ধরলেন না যে?

আমিঃ টয়লেট এ ছিলাম। হাইগ্যা আইলাম। প্রায় দেড় কেজি! :D

জনৈকঃ ছি। আপনি মাঝে মাঝে এত বাজে কথা বলেন!

আমিঃ বাজে কথা কি বললাম? তুমি হাগো না? পায়খানা দেখ নাই জীবনে? তুমি হাগলে কি চকলেট আইসক্রিম বের হয় নাকি? ক্যালভিন ক্লাইন এর গন্ধ বের হয়?

জনৈকঃ ইইইইউ! কি বলেন এইগুলা!

আমিঃ হ বুঝছি! আমরা হাগলে 'ইইইউ ইইইউ' আর শাহরুখ খান হাগলে 'মিউ মিউ'! যত্তসব!



কথোপকথন ০৬

জনৈকঃ সুমন ভাই। আপনি এত সুন্দর গান কিভাবে গান? 

আমিঃ মুখ দিয়া

জনৈকঃ আপনি অনেক ফাজিল।

আমিঃ হু আমি জানি।

জনৈকঃ একটু টিপস দিবেন?

আমিঃ না

জনৈকঃ কেন সুমন ভাই?

আমিঃ আমি ছেলেদের কে টিপ দেই না। :-/



কথোপকথন ০৭

জনৈকঃ আপনি অনন্ত জলিল এর নতুন মুভি টা দেখেছেন?

আমিঃ না। কিন্তু দেখবো

জনৈকঃ দেইখেন! হাসতে হাসতে মারা যাবেন! এত্ত ফানি! 

আমিঃ আচ্ছা

জনৈকঃ লোকটা এরকম কেন বলুন তো?

আমিঃ কেমন?

জনৈকঃ এই যে দেখেন না? কিসব ফালতু মুভি বানায়। ঠিকমত কথাও বলতে পারে না

আমিঃ অসুবিধা কোথায়? সবাই তো মুভি দেখছে

জনৈকঃ এইসব মুভি করে কেন?

আমিঃ এইসব মুভি করে সো দ্যাট মানুষজন দেখে। এবং তাঁর মুভি সবাই দেখছে। সো প্রবলেম কই? আমাদের দেশে বাংলা কমারশিয়াল মুভি আগে শিক্ষিত লোকজন খুব কমই দেখত। ইদানিং কিন্তু তোমরা সবাই মুভি থিয়েটারে গিয়া গাঁটের পয়সা খরচ করে এসব দেখছ। সুতরাং আমি বলব অনন্ত জলিল যা করছে তা খুবই ভাল কাজই করছে। আগে অনেকেই শুধুমাত্র হিন্দি/ইংলিশ মুভি দেখত। বাংলাদেশের মুভি দেখত না। এখন থিয়েটারে গিয়ে দেখে। দেশের সরকার অথবা রাজনীতিবিদরা অনেকেই যা করতে পারে নাই। এই মানুষ টা একাই সেটা সম্ভব করেছে।  ছোটবেলায় বিটিভি তে ছায়াছন্দ নামের একটা বাংলা মুভির গানের অনুষ্ঠান দেখাত। আমরা সবাই ঐ অনুষ্ঠান দেখতাম ঠিকই, কিন্তু শেষ হবার পর সেটা নিয়ে হাসাহাসি করতাম নিজেকে 'আমি খ্যাত নয়' প্রমান করার জন্য। সেই ছায়াছন্দ অনুষ্ঠান টি খুব সম্ভবত বিটিভির সবচেয়ে হিট অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটা। অনন্ত জলিল এর মুভি খ্যাত অথবা হাস্যকর মানুষের কাছে লাগতেই পারে, কিন্তু সে কিন্তু হিট, তাঁর মুভিও হিট! টাকা কামাই হচ্ছে। সে যা করেছে, সেটা অবশ্যই আমার চোখে প্রশংসনীয়।

জনৈকঃ কিন্তু আপনিও তো তাঁর মুভি নিয়ে হাসাহাসি করেছেন।

আমিঃ অবশ্যই করেছি। হাসাহাসি করার জিনিস পেয়েছি তাই করেছি। কিন্তু তাঁর মানে এই নয় যে আমি এটা সাপোর্ট করি না। তাঁর মুভি পয়সা দিয়া দেখবো, মজা করব, হাসাহাসি করব এবং তাঁর এই ইনিশিয়েটিভের প্রশংসাও করব। জেমস বন্ড যখন অবাস্তব কাণ্ডকারখানা করার পর সেটা হজম করেছি, অনন্ত জলিল এর টাও হজম করব। হ্যাটস অফ টু হিম!



কথোপকথন ০৮

জনৈকঃ সুমন ভাই, আপনি কই?

আমিঃ কক্সবাজার

জনৈকঃ কক্সবাজারে কেন গেছেন?

আমিঃ না মানে, বাসায় পানি নাই, তাই ঢাকা থেকে এখানে সমুদ্রে গোসল করতে আসছি!

জনৈকঃ হিহিহি। সুমন ভাই আপনি যে মাঝে মধ্যে কি বলেন না!

আমিঃ যেমন প্রশ্ন করসো সেরকম উত্তর দিলাম। আমার মত একটা মানুষ কক্সবাজারে কেন আসব?
এইটা কি আমার শ্বশুর বাড়ি? আর কোন কুয়েশ্চন পাও না? পিতলা আলাপের আর কোন সাবজেক্ট নাই?

জনৈকঃ চেতেন কেন?

আমিঃ চেতি না। আই এম বিইং সারকাস্টিক

জনৈকঃ সারকাস্টিক কি?

আমিঃ আমি রাখি, গোসল করা শেষ হইলে কথা হবে (দীর্ঘশ্বাস)




কথোপকথন ০৯

জনৈকঃ ওয়াটস আপ ম্যান?

আমিঃ ছাঁদ

জনৈকঃ ছাঁদ মানে কি? ওয়াট আর ইউ টকিং অ্যাবাউট ব্রো?

আমিঃ তুমি জিগাইসো উপ্রে কি, আমার মাথার উপ্রে ছাঁদ, তাই কইলাম, ছাঁদ ইস আপ :-/

জনৈকঃ হাহাহাহা, সুমন ভাই, ইটস সো লেইম!

আমিঃ হ, ঠিকই কইসো? এল্লেইগাই ধরতে পার নাই আমার কথা

জনৈকঃ নো ব্রো, নট দ্যাট। এইসব জোকস খুবই লেইম। আপনাকে মানায় না

আমিঃ শোনো, বিলি শিহানের নাম জানো?

জনৈকঃ নো ব্রো। হু ইস হি?

আমিঃ বিলি শিহান হইল পৃথিবীর ওয়ান অফ দ্যা মোস্ট পপুলার বেসিস্ট। প্রায় সব রক বেসিস্ট রাই তাকে গুরু মানে ইনক্লুডিং মি। একবার সিংগাপুরে তাঁর একটা কনসার্ট এ ব্যাকস্টেজে বসে তাঁর সাথে  আড্ডা দিতেসিলাম। তাকে একজন এসে তোমার মত প্রশ্নটা করসিল। সে এই সেম আনসারটা দিসিল। এখন আমার কথা হইল, পৃথিবীর ওয়ান অফ দ্যা মোস্ট পপুলার, রেস্পেক্টেবল রক বেস গিটারিস্ট যদি এই জোক টা করতে পারে, তাহলে তুমি কন চ্যাটের বাল আইসো আমারে বুঝাইতে যে কোনটা 'লেইম' আর কোনটা না?

জনৈকঃ না মানে ... ওয়াট আই মেন্ট ওয়াজ ...

আমিঃ ব্রো ... হ্যাভ সাম পাফড রাইস

জনৈকঃ জী?

আমিঃ ভাইয়া ... মুড়ি খাও



কথোপকথন ১০

জনৈকঃ হ্যালো, এটা কি ০১৭*******?

আমিঃ না, রং নাম্বার


যাইহোক, অনেক কথা লিখিলাম। আজ আর মাথায় কিছু আসিতেছে না। পরে আবার আসিব। সবাই ভাল থাকিবেন। :-) 

Tuesday, August 13, 2013

বাঙালি

কয়েকদিন আগে মিতা হকের একটা ইন্টারভ্যু নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। অনেকেই দেখলাম ব্যাপারটা নিয়ে ফেসবুকে অনেক কথাবার্তা বলছে। অনেকে আবার তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালিও করছে! এই ব্যাপারটা কোন অবস্থাতেই আমি হজম করতে পারলাম না। ধর্ম বা শ্লীলতা রক্ষা করতে গিয়ে অশ্লীল গালাগালি করাটা ঠিক যৌক্তিক লাগছে না আমার কাছে! যারা এইসব কাজ করছেন তাদের কাছে অনুরোধ, এরকম না করার জন্য। যাইহোক, এটা পুরোই আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি। 

কেউ কেউ আবার মিতা হকের পক্ষে থেকে তার কমেন্ট এর বিপক্ষীয়দের (যাদের মধ্যে আমিও আছি) নিয়েও অনেক বাজে কথা বলছেন। অনেকেই বলছেন হিজাবের জন্য নাকি বাংলা সংস্কৃতি ধ্বংশের পথে! অনেকেই তার কথা আক্ষরিক ভাবে না নিয়ে অন্তর্নিহিত মিনিং খুঁজে বের করতে বলছেন। এই ব্যাপারে কিছু কথা বলি.... 

বাংলা সংস্কৃতিতে লিভাইস জিনস ছিলোনা। ছিলনা স্কার্ট অথবা টপস অথবা কনভার্স এর জুতা। পশ্চিমা 'স্টাইল' এর কারনে ঐসব তো আমরা হজম করে নিলাম। বলিয়ুড এর কারনেও বিয়ে বাড়ির ওয়ারড্রব এও বিশাল মেকওভার করলাম। অমুক হিন্দি মুভির নায়িকার লেহেঙ্গা ছাড়া তো বিয়েই করা যাবেনা! গিটার আর ড্রামস দিয়ে গান বানালাম। মানুষ শুনলো, এবং এখনো শুনে। আমাদের গান বাংলাদেশের ক্যালেন্ডারের বিশেষ দিনগুলোতেও বাজানো হয়। বৈশাখী মেলায় ফিডব্যাক এর গিটার, ড্রামস, কিবোর্ড দিয়ে কম্পোস করা 'মেলায় যাইরে' গান উপভোগ না করে পালন করা তো আমরা কল্পনাই করতে পারিনা। এসব ব্যাপারে কিন্তু আমরা আবার সবাই চুপ! কেউ তেমন কোনো কথা বলিনা। আর আজ ধর্মের কারনে পোশাকের পরিবর্তন আনলেই সেটা অনেক বড় খারাপ কাজ হয়ে গেল? এই পোশাক কি আপনাদের অনেক বড় ক্ষতি করছে? এই পোশাকে কি বাঙালি মূল্যবোধের অনেক সমস্যা হচ্ছে? দেশপ্রেম কি হিজাবের কারনে কমে যাচ্ছে? ৮৫%+ মুসলমানের দেশে আজ হিজাব করা অনেক খারাপ একটা ব্যাপার হয়ে গেল? অন্যান্য ধর্মপালনকারীরা তাদের ধর্মীয় পোশাক পড়লে অসুবিধা নাই, কিন্তু মুসলিমরা পড়লে সমস্যা? ঈদের সময় হট আইটেম হিসেবে যখন বিদেশি পর্নস্টারের নামে সালোয়ার কামিজ বিক্রি হয়, এবং আমরা বাঙালিরা যখন মনের খুশিতে সেই জামা কিনে পরি তখন বাঙালি সংস্কৃতিতে আঘাত হানে না? কেন আনেনা? কারণ এটা সালোয়ার কামিজ তাই? ক্যানাডিয়ান পর্নস্টারের নামের সালোয়ার কামিজ হলেও ব্যাপারটা মাফ করে দেয়া যায় তাই না?

আমার মিতা হকের কথার ভিতরের 'সো কল্ড অন্তর্নিহিত' মিনিং বের করার দরকার নাই.... তিনি তার ক্রেডিবিলিটি হারিয়েছেন। বেশিদিন আগের কথা নয়, 'ক্ষ' ব্যান্ডের 'আমার সোনার বাংলা' গানটির রিমেক শোনার পরেও তাঁর 'বাঙালিত্ব'তে আঘাত লেগেছিল। তখনো তার কথার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। এবারও জানাচ্ছি। মিতা হক যদি বাংলাদেশের বাঙালিত্বের অফিসিয়াল বিবেচকে পরিনত হন, তাহলে খুবই হাস্যকর হবে ব্যাপারটা! একটু আগে যা বললাম তাঁর কথার কোনো ক্রেডিবিলিটি আমার কাছে নাই। "যার যার ধর্ম তার তার, কিন্তু দেশটা আমাদের সবার" .... এরকম কথা কয়েকদিন আগেও রাজপথে চিতকার করে বলেছি। মিতা হক অবশ্যই সেটা মানতে রাজি নন। সবাই ভালো থাকবেন।


- সুমন (একজন বাংলাদেশি বাঙালি মুসলিম)

Sunday, August 11, 2013

মিতা হক.... ওয়ান এন্ড ওনলি ট্রু 'বাঙালি'

মিতা হক এর একটা ইন্টারভ্যু দেখলাম টিভিতে! এ ব্যাপারে কিছু একটা বলা দরকার!

শুনেন আপা... আপনি এন্টি-জামাত বুঝলাম, কিন্তু তাই বলে যারা হিজাব করে তাদেরকে 'অবাঙালি' বলাটা কি ঠিক হইলো? রাস্তায় বের হলে আপনিই শুধু বাঙালি? যারা ইসলাম ধর্ম মেনে চলার কারনে হিজাব করে তারা কি পাকিস্তানি? দাড়ি-টুপি কি পাকিস্তানের সম্পত্তি? শুনেন আপা, আপনি কলকাতা ঘুরে আসেন, মন ফুরফুরা হবে ৷ যত্তসব!


ফুটনোট ১: 'যত্তসব' আপনাকে বলি নাই, হতাশায় মুখ দিয়ে বের হইসে... মাইন্ড খাইয়েন না আবার :-/
ফুটনোট ২: কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ ও মনে হয় 'অবাঙালি' ছিলো। কত লম্বা দাড়ি! ছি ছি!

Friday, June 7, 2013

ব্যর্থ উলঙ্গতার রক্তিম ব্যাকরণ

আমার খুব কাছের একজন মানুষ, ক্রিপটিক ফেইট এর ভোকালিস্ট / বেজিস্ট শাকিব, কয়েকদিন আগে আমাকে বলল, "সুমন ভাই, মানুষজন তো দেখি আমার লিরিক নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলতেসে । তারা বলে আমার গানের কথা নাকি খুব সাধারণ। কঠিন কোনো শব্দ নাই।" এই কথাটা শুনে বেশ মজা পেলাম। আমাদের দেশে এক এক সময় এক একটা 'ট্রেন্ড' চালু হয়। হেভি মেটাল গান হইলে লিরিক হইতে হবে দাতভাঙ্গা টাইপ। মানে ঐসব কথা উচ্চারিত হইতে গেলে জিভে গিট্টু লাগতে হবে। দাত শিরশির করতে হবে। ৩/৪ বার গলা খাকারি দিতে হবে। নাইলে এইটা কোনো লিরিক হইলো?!? সাবজেক্ট হইতে হবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অথবা যুদ্ধ। গানের ভেতর ছেলেটা দুখী নয়, সে চরম রাগান্নিত। তার আর কোনো কিছুই সহ্য হইতেসেনা। বার্স্ট করলো বইলা! মানে ভয়ঙ্কর অবস্থা!
আরেহ ভাই, আমিও তো ছোটবেলা থেকে হেভি মেটাল শুইনা বড় হইসি। তাই বইলা কি সারাক্ষণ কঠিন ভাষায় গান গাইতে হবে নাকি? আমরা তো ভাঙ্গা 'ট্রেন্ড' দিয়াই হিট হইসিলাম। আজকে এই 'ট্রেন্ড' আরেকজন ভাঙলে প্রবলেম কি? ছোটবেলাতে যখন পাড়ার মাস্তান হটায় নিজে মাস্তান হইতে পারসিলাম, এখন আমাদের ভাগায় দিয়ে অন্য কেউ আসতে পারলে আসুক না। এত দুক্ষ কিসের? যাইহোক, আমার দুক্ষ টা এখানে নয়, অন্য জায়গায়! আমার কথা হলো এইসব কথা যদি বুঝে কেউ বলত তাহলেও মানতাম। কঠিন কঠিন লিরিক অনেকেই বুঝে না। কিন্তু ভাব নেয় ভয়ঙ্কর! আহ কি ফিল। কত ডিপ! কূল ম্যান!

আমি বেশ কয়েক বছর আগে একটা লিরিক লিখেছিলাম। নিচে লিরিকটা দিলাম। দেখেনতো বুঝেন নাকি? আমি এই 'সিরিয়াস' লিরিকটার জন্যে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছিলাম, যার মাঝে কয়েকজন 'হেভি মেটাল' লিরিসিস্ট ও ছিল। সঙ্গত কারণে কোনো গানে এই লিরিক আমি ব্যবহার করিনি । একটু পরে দেখুন কষ্ট করে ...

চারিদিকে মৃত্যুময় ভ্রুণের হাহাকারে চিরন্তনের বোম্বেটে খেলা 
সদুর আলোর মাঝে শুরু হয় ধংসের রক্তপাত 
বিভীষিকাময় নির্লজ্জ বহুবৃহির কিংকর্তব্যবিমুরতা 
আমার আমার থেতলে যাওয়া চোয়ালের একপেশে লোঘু নির্মান 

প্রবেশপথে বিদ্রোহী শকুনের লোভাতুর চতুর্ভুজ 
খোজ! খোজ! খোজ! তাকে ধংশ কর নীলিমার পুঁজ 
আমার হাতের মুঠোয় তোমার বিকৃত ঘৃণার সমান্তরাল
উড়াল দেবে আকাশে ছিন্নভিন্ন অব্যক্ত আকাঙ্খার সর্বনাশ !

যাইহোক, যেটা বলছিলাম, এই লিরিকের অনেক প্রশংসা পাবার পরেও আমি লিরিকটি দিয়ে কোনো গান না বানানোর কারণ হলো এটা একটা ননসেন্স লিরিক! এই লিরিকের কোনো 'ইনার মিনিং' নাই। আমার মাথায় যা আসছিলো তাই লিখে দিসিলাম। কোনো সাবজেক্ট নাই। শুধু কিছু 'কঠিন', 'কুল', 'ভাবz-যুক্ত' শব্দের খিচুরী বিন্যাস। সুতরাং শাকিব, তোমাকে একটা কথাই বলব, "তুমি কোনো চিন্তা কইরনা, বাংলা ডিকশনারি আছে, কঠিন কঠিন শব্দ বের করো, তারপর যা আছে কপালে, কপি আর পেস্ট! voila!

হেভিমেটালের জয় হোক! জয় হোক সমালোচনার!

ফুটনোট: আমার এই ব্লগ পোস্টটির নাম টা কেমন? 'কূল' না? :-) 

Sunday, June 2, 2013

গল্প

আজ একটা গল্প শোনাই। বেশ কয়েক বছর আগের কথা। স্থান: নিউ ইয়র্ক। ঢালিয়ুড কনসার্ট। বিশাল স্টেজ। মনোরম পরিবেশ। অনেক মানুষ। বাংলাদেশের একজন সঙ্গীতশিল্পী স্টেজ এ উঠলেন গান পরিবেশন করার জন্য।

শিল্পী: স্টেজটা তো বড়ই সন্দর হইসে! ছমইতখার!

ভলান্টিয়ার: জ্বি। থ্যাঙ্ক ইউ। আপনাদের দোয়া :-)

শিল্পী: শুনো ... আমি কিন্তুক ৮ টার নিচে গান গামুনা কইলাম... আর আইজক্যা নাইচ্চা ফাটায় লামু। আর এই নতুন মাইকডাও ছমইতকার! মাথায় বাইন্ধা রাখলেই আওয়াজ আসে! কোনো তারের ঝামেলা নাই। তারের লগে আমার পা পেচাইয়া গিট্টু লাগার কিসু নাই! বুঝলা কিনা? হাহাহাহা

ভলান্টিয়ার: আপনে কোনো চিন্তা করবেন না। শুধু একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন। স্টেজ এর সামনে যে কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা আছে ঐখানটায় যাবেন না কিন্তু।

শিল্পী: আরেহ! তুমি কুনু সিন্তা কইরোনা ... আমি হলাম গিয়া ফ্রপেশনাল! বুঝসো?

ভলান্টিয়ার: জ্বি জ্বি হে হে অবশ্যই অবশ্যই 

শিল্পী: দর্শকমন্ডলি! আমি অহন ফকির আলমগীর ভাইয়ের একডা গান গাব। ও সখিনা গেসোস কিনা ভুইল্যা আমারে! ও সখিনা গেসোস কিনা ভুইল্যা আমারে! আমি অহন ... আমি অহন রিশকা সালাই-ই-ই-ই-ই ...... বুম#$$% ... ব্নহ্র্যং$$% ... ভাগা $%^ভাগা ... ডিং ...ক্র্যং *#$%&ওরে আল্লাহ রে! মাজাডা গেল রে!@#$&^!

ভলান্টিয়ার: ওই ওই ভাই রে ধর! পইরা গ্যাসে! পইরা গ্যাসে!! স্টেজ এর সামনের ফুটা দিয়া পইরা গ্যাসে!!

আমাদের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তখন স্টেজ এর নিচ থেকে চিতকার করতে থাকলেন। তার মাথায় ছিলোনা যে ওয়ারলেস হেড সেট মাইক পরিহিত অবস্থায় কথা বললে সেটা গানের মতই অডিটরিয়াম এর সবাই শুনতে পাবে। সবার কানে ভেসে আসলো নতুন ধরনের একটি গান ... শুয়ারের বাইসস্যা! কুত্তার বাইসস্যা! কোন হারাজাদায় স্টেজ এর মাইযখানে ফুডা কইরা থুইসে! *&^%$#%^&শুয়ারের বাইসস্যা! কুত্তার বাইসস্যা!@&^$#@

যাইহোক, গল্পটা বরং এখানেই শেষ করা যাক।

ফুটনোট: আমেরিকার একটি অনুষ্ঠানে এরকম একটা ঘটনা কিন্তু আসলেও ঘটেছিল। আমি একটু নিজের মত করে বললাম। সঙ্গত কারণেই আসল জায়গার নাম এবং শিল্পীর নামটা বলা গেল না। নতুবা আমার কাছে হয়তবা ফোন চলে আসবে, "শুয়ারের বাইস্সা! কুত্তার বাইসস্যা!...." 

যাইহোক, সবাই ভালো থাকবেন।

Tuesday, May 28, 2013

Q & A

ফেসবুকে প্রথম প্রথম যখন ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসতো, তখন বেশ ভালই লাগতো। "বাহ! আমি অনেক ফেমাস!" টাইপের ভালো। ধীরে ধীরে ফ্রেন্ডলিস্ট বড় হতে লাগলো। একটা সময় আবিষ্কার করলাম জুকারবার্গ ভাই ৫০০০ ফ্রেন্ডের একটা কোটা সেট করে দিয়েছে সব একাউন্টে। চিন্তায় পরে গেলাম। কি করা যায়? তারপর নতুন আরেকটা একাউন্ট ওপেন করলাম। সেটাও কয়েকদিন পর ভর্তি হয়ে গেলো। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা খুব মজার ছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটা শুরু হলো যখন ফেসবুক এর চ্যাটিং অপশনটা অন করি। সবাই নক করা শুরু করলো যখনি আমি অনলাইন হই। ফ্যান এবং ফ্রেন্ড দের যাবতীয় প্রশ্ন। প্রশ্নের উত্তর দিতে আমার কোনই অসুবিধা নাই কিন্তু কয়েকদিন পর যেই ঝামেলাটা শুরু হলো সেটা হলো, ব্রাউসার ক্র্যাশ করা শুরু করলো! একসাথে এত মানুষ নক করে যে ব্রাউসার সেটা হ্যান্ডেল করতে পারছিলনা! মজার ব্যাপার হলো সবার প্রশ্ন একই ধরনের। কিন্তু আলাদা ভাবে উত্তর দিতে হয়। আবার যাদের উত্তর দেই না, তারা মাইন্ড খায়। কি মুশকিল! অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমি তখন একটা নোট লিখলাম। সেখানে কিছু 'কমন' প্রশ্নের উত্তর লিখে রাখলাম। কেউ সেই ধরনের প্রশ্ন করলেই নোট এর লিংক টা দিয়ে দিতাম। ঝামেলা শেষ (আইডিয়াটা অনেক আগে দেখা হুমায়ুন আহমেদ এর একটা নাটক থেকে নেয়া)।  আজ হঠাত আমার পুরনো নোটগুলো ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে সেটা খুঁজে পেলাম। নিচে সেই নোটটা বর্তমান প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে এডিট করে দিয়ে দিলাম। আশাকরি আপনাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর এখানে পাবেন।

আপনি কেমন আছেন?
গ্রেট

আপনার শরীর কেমন?
ছি ছি ... এসব কি ধরনের প্রশ্ন? তোমাদের কি বাপ ভাই নাই?

সার্জারী কেমন হলো?
ঐটাতো ডাক্তার জানে, আমিতো অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম। দেখতে পারি নাই

কি করছেন?
ফেসবুকে চ্যাটিং করছি! :-/

আপনার প্রিয় মিউসিশিয়ান কে?
আমি

আপনার প্রিয় ব্যান্ড কোনটা?
আমার ব্যান্ড?

বিদেশে আপনার প্রিয় ব্যান্ড কোনটা?
নাই ... বিদেশে যখন আমার ব্যান্ড যায়, তখন আমার ব্যান্ড

ভৌতিস্ট কবে রিলিস হবে?
জানিনা

ভৌতিস্ট এর কাজ কতটুকু বাকি?
২টা এপিসোড ছাড়া সব শেষ।

অনেক অনেক বছর আগে বলসিলেন ভৌতিস্ট রিলিজ হবে শীঘ্রই, এখনো কোনো খবর নাই কেন? আপনারা মিথ্যুক। আপনাদের কথার কোনই দাম নাই। দেখুমনা ভৌতিস্ট। আপনারা ফালতু!
হাহাহা। আমি এটা নিয়ে এই মুহুর্তে একদমই চিন্তিত না। কারন কি জানেন? ..... অনেক অনেক আগে আমাদের রাজনীতিবিদরা বলেছিলো আমাদের দেশ সোনার বাংলাদেশ হবে। কোনো সমস্যা থাকবেনা। সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করবো। তাই এদের কথা শুনে এবং বিশ্বাস করে আপনারা (ইনক্লুডিং মি) প্রতিবার ভোট ও দিয়েছেন। তারপর সব দলই ক্ষমতায় যাবার পর তাদের কথা রাখেনি। আপনারা তাদের তখন গালাগালি করেছেন। তারপর পরবর্তী নির্বাচনের সময় ঠিকই তাদেরই আবার ভোট দিয়েছেন। আমার কি ধারণা জানেন? যত যাই হোক না কেন, আমি যাই বলি না কেন, ভৌতিস্ট রিলিজ হবার পর আপনারা ঠিকই দেখবেন। কারণ আমরা খুবই দয়াবান, ফ্রেন্ডলি এবং গোল্ডফিশ এর  থ্রি সেকন্ড মেমরি মিথ এর মত ভুলোমনা জাতি। আমরা ইন্টারনেট এ তিতা, ভোটকেন্দ্রে মিষ্টি! :-)

কোন চ্যানেল এ ভৌতিস্ট দেখাবে?
শিওর না

ভৌতিস্ট কয়টার সময় দেখাবে?
ইউ গটা বি কিডিং মি! .... জানিনা!

ভূত এফএম এ আসেন না কেন?
গত ২ বছরে আমার ৫ টা সার্জারী হয়েছে। দেশে ছিলাম অনেক কম। দেশে থাকলেও শুক্রবারে কনসার্ট অথবা শুটিং এর কাজে ঢাকার বাইরে থাকা হতো বেশিরভাগ সময়। তাই রেডিও তে অনেক কম যাওয়া হয়েছে

তাহলে কি আর আসবেন না?
অবশ্যই আসবো ইনশাআল্লাহ

অর্থহীন এর নেক্সট এলবাম কবে আসবে?
২০১৩ এর শেষে

আপনার ব্যান্ড এর নাম অর্থহীন হলো কেন?
অর্থহীন হলো কারন নাম রেখেছি অর্থহীন
না সুমন ভাই, সিরিয়াসলি বলেন।
আসলে ব্যাপারটা হলো কি .... সৃষ্টির আদিকাল আদিকাল থেকে যুগ যুগ ধরে আমাদের আসেপাশে যা আমরা দেখছি এ সবই তো অর্থহীন। একদিন আমাদের সবারই তো চলে যেতে হবে। তাই অনেক চিন্তাভাবনা করে আমার ব্যান্ডের এই নামকরন
ওহ! তাই?
নাহ! ফাপড় নিলাম। নামটা রাখসি হুদাই :-/

'সুমন ও অনিলা - ২' এলবাম কবে বাজারে আসবে?
২০১৩

কনসার্ট কম করেন কেন?
বেশি করতে ইচ্ছা করেনা

আপনদের নেক্সট কনসার্ট কবে?
নেক্সটে :-/

আপনি কখনো ভুত দেখেছেন?
ভুত কি জিনিস?

আপনি রাতের বেলাতেও সানগ্লাস পড়েন কেন?
আমি সানগ্লাস পরিনা। 'ভাবগ্লাস' পরি। ইটস ফর 'ভাবস' ... নট 'সান' :-/

এত ভাব নেন কেন?
কারণ আমার যে অনেকগুলা ভাবগ্লাস!

ফেসবুকে মেসেজ করলে রিপ্লাই দেন না কেন?
প্রতিদিন ১০০+ মেসেজ আসে। সবগুলা পরা অথবা রিপ্লাই দেয়া পসিবল না।

আপনি এত শুকালেন কিভাবে?
প্রতিদিন ৪ ঘন্টা ওয়ার্কআউট এবং আমার 'ইনসেইন ডায়েট প্ল্যান

ইনসেইন ডায়েট প্ল্যানটা কি বলবেন? তাহলে অনেকের উপকার হইতো?
না ... আমাকে কি ফাদার টেরেসা মনে হয়?

মিউজিক কি আপনার প্রফেশন নাকি হবি?
একটাও না ... মিউজিক আমার প্যাশন

ফেসবুকে আপনাকে নক করলে আনসার দেন না কেন?
একসাথে অনেকে নক করে, সবাইকে আনসার দেয়া পসিবল না

ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাবেন একটা কষ্ট করে? আমি পাঠাতে পারছিনা।
ফ্রেন্ডলিস্ট ফুল। জুকারবার্গ ভাই ৫০০০ ফ্রেন্ডের কোটা দিয়ে রাখসে

কি ব্যাপার ভাই? কতগুলা মেসেজ পাঠাইলাম, একটারও তো উত্তর দিলেন না। অনেক বড় সেলেব্রিটি হয়ে গেসেন, তাই না?
জ্বি, ঠিক তাই

আপনি কি অনেক মুডি?
এই আনসার টা দিবোনা

কেন?
কারণ মুড মারতেসি। বাই দ্যা ওয়ে, জিলাপি আমার খুব পছন্দ।

জিলাপির কথা বললেন কেন? আমিতো আস্ক করি নাই
তোমরা ইচ্ছামত প্রশ্ন করবা আর আমি ইচ্ছামত আনসার দিতে পারবোনা? আজব!

অনেকে বলে আপনি নাকি অনেক সুইট?
জ্বী ... কথা সত্য। আমার নিজের হাতে বানানো কফিতে চিনি পর্যন্ত দিতে হয়না .. এমনিতেই মিষ্টি হয়, আমি এতটাই সুইট। ইনফ্যাক্ট আমার পায়ে বানানো কফিও অনেক মজার

হাহাহা। আপনি অনেক মজার মানুষ 
জ্বী। আমি ভাত খাবার সময় চামচ দিয়ে খাই। যদি ভুলে নিজের আঙ্গুল খেয়ে ফেলি তাই .... আমি এতটাই মজার!

আপনি অনেক সুন্দর বেজ বাজান। আমাকে কি কিছু টিপস দেয়া যায়?
ছি! তোমাকে টিপবো কেন? এটা কেমন কথা!

আপনার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কি? 
আমার ছেলে আর মেয়ে

সুমন ভাই, আপনাকে একটা কথা বলি যদি কিছু মনে না করেন?
অবশ্যই!
আই লাভ ইউ!
বাহ! আমাদের মধ্যে কি চমতকার মিল! আই লাভ মি টু!

আপনি এত খারাপ কেন?
থ্যাঙ্কস এ লট! আই ট্রাই মাই বেস্ট :D

আপনি কি আস্তিক নাকি নাস্তিক?
আমি আস্তিক। আমি হজ পর্যন্ত করেছি। কিন্তু ব্লগ লিখি মাঝেমধ্যে

তাহলে নামের শুরুতে 'হাজী' লিখেন না কেন?
ইসলাম ধর্মে এরকম কোনো নিয়ম আছে বলে আমার জানা নেই

আস্তিক - নাস্তিক নিয়ে কিছু লিখবেন না?
ইনশাল্লাহ লিখবো ভবিষ্যতে

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলবেন?
জ্বি .... "কিছু" .... হ্যাপী নাও?


যাই হোক ... এরকম আরো অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হই। মাথায় আরো কিছু আসলে ভবিষ্যতে আবার লিখব। সবাই ভালো থাকবেন। 

Wednesday, May 22, 2013

ফেস-বাংলা

ফেসবুক একটা চমতকার ভার্চুয়াল প্লেস। এখানে নানা ধরনের 'এক্সপেরিয়েন্স' হয় আমার। স্ট্যাটাস, কমেন্ট, লাইক, গেম রেকুয়েস্ট, আরো কত কি। কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ধরনের আজব জিনিস হলো কিছু কিছু ফেসবুক ফ্রেন্ড অথবা ফলোয়ার এর 'অদ্ভুত' এক ধরনের ভাষার কনভার্সেশন। এই ভাষা কিভাবে আবিষ্কার হলো সেটা আমার জানা নেই, কিন্তু এই ভাষা হজম করাটা আমার জন্যে ইদানীং বেশ দুষ্কর হয়ে দাড়াচ্ছে। আমি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করি। ব্যাপারটা পছন্দও করি। জন কেইজ (ব্ল্যাক ব্যান্ড এর প্রাক্তন ভোকালিস্ট জন এর সাথে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই) এর একটা কথা আমার খুব ফেভারেট, "I can't understand why people are frightened by new ideas. I'm frightened of old one"... জ্বী, নতুন নতুন জিনিসকে আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু তারপরও আমিতো নিতান্তই একজন মানুষ। সব ধরনের নতুন জিনিস 'হজম' করার ক্ষমতা আমার নেই। মুখের মধ্যে সুপারি আর চুয়িংগাম রেখে চাবায় চাবায় বাংলা গান গাওয়াকেও স্বাগত জানিয়েছি আমি। কিন্তু, এই নতুন ধরনের ফেসবুকীয় ভাষাটা কেন জানি একটু বদহজমের সাথে সখ্যতা গড়তে সাহায্য করছে ইদানীং। এটাকি বয়সের দোষ? নাহ! মনে হয় না। কে জানি বলেছিল 'লাইফ স্টার্টস এট ফরটি'... এটা মনের দোষ। মনের গুন ও বলা যেতে পারে। আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটির মত একটা ব্যাপার। দোষ অথবা গুন যাই হোক না কেন, ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করা যেতেই পারে। তাছাড়া ব্লগ লেখার একটা মজার ব্যাপার হলো যা মাথায় আসে সেটাই লেখা যায় (না ... মানে ... ইয়ে)। আমার কাছে মাঝে মাঝে ফ্যান মেইল আসে (জ্বী, আমি ফেমাস সেলিব্রিটি, বিশ্বাস না হলে গুগল করেন), সেখানে এই ধরনের লেখা থাকে ... 'Sumon "Viha" kaman asan?'  ওকে ... আমাকে একটু বোঝান ... হোয়াট দ্যা হেল ইজ 'VIHA'???  শুধু viha ই নয়, এই শব্দের আরো অনেক ধরনের বানান আছে, (জ্বী, এইটা একটা ওপেন সোর্স ডিকশনারি), যেমন... vaya, vhaiya, vbaya, viya, biya, baiya, আরো অনেক কিছু। গত বছরের একটা ঘটনা, আমার এক মেয়ে ফ্রেন্ড এর স্ট্যাটাস, "amar ekta vagina hoyese. sobai doya korban"!!!! স্ট্যাটাস টা পড়েই সাথে সাথে তাকে প্রাইভেট মেসেজ করলাম। "ঐ, এইটা কি লিখসো? এক্ষুনি বানান চেঞ্জ কর!" যাইহোক, তাকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বোঝাতে হলো তার ভুলটা কোথায়!

একটি ঘটনা দিয়ে আজকের লেখা শেষ করছি। কয়েকদিন আগে ফেসবুকের টাইমলাইন এ দেখলাম একজন তার নিজের একটা ছবি আপলোড করেছে ৷ ছবিতে তার চেহারা দেখা যাচ্ছেনা ৷ শুধু ঠোটের ছবি ৷ সে একটি স্ট্রবেরি খাচ্ছে ৷ ছবির নিচে লেখা "itzz Time 4 my et Strawberry.........!! Yam Yame..... :P" (জ্বী, হুবহু এটাই লেখা ছিল, আমি কপি/পেস্ট করলাম)!

আমার এই ধরনের বদহজম সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো নিয়ে কিছু কথা বলার আছে! আজকে নাহয় বলেই ফেলি ....

শোনো সোনামনিরা ... প্রথমত, ইংরেজি ফন্টে বাংলা ভাষায় মনের ভাব অবশ্যই প্রকাশ করো, কিন্তু একটু বুইঝা করলে ভালো হয়। নিজের ভাগিনাকে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ফালানোর কোনো দরকার নাই। দ্বিতীয়ত, ইংরেজি না জানার মধ্যে লজ্জার কিছু নাই! তুমি ইংরেজি ফন্ট ব্যবহার করেও সুন্দর ভাবে বাংলা লিখতে পারবে! তোমার বন্ধু বান্ধবীরা ইংরেজি লেখে বলে তোমাকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ১৩ মিনিট চিন্তা করে স্পেলিং আর গ্রামার এর গো* মেরে তার উপর 'ইয়ো... আম ক্যুল' প্লাগিন মেরে এইসব পিতলা স্ট্যাটাস দিতে হবে না! এইসব 'ইংরেজি' দেখলে আমরা মোটেও ইম্প্রেস্ড হইনা, বরং মাথার চুল থেকে শুরু কইরা পাছার বা* এর গোড়া পর্যন্ত চুলকাইতে থাকে। তখন বারবার জীবনটা নিজের ব্যান্ডের নামের মত 'অর্থহীন' মনে হয়। শুধু তাই নয়, আমার তখন মনে হয় .... থাক! আর কিছু বললাম না! আমি বরং আজ যাই। সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

 ফুটনোট: ধুর! পাউডার খুঁজতে হবে! চুলকাইতেসে এখনো!

Saturday, May 18, 2013

ডিজিটাল বাংলাদেশ?

নজিরবিহীন 'ইউটিউব ব্যান এবং আনব্যান করার অক্ষমতা'র পর শুনলাম এখন নাকি ইন্টারনেট আপলিংক ডাওনলিংক স্পিড নিয়া নতুন এক তামাশা শুরু হইসে? আমার এই ব্যাপারে অনেক কিছুই বলার আছে, কিন্তু এখন সিংগারা খাচ্ছি বিধায় পরে বলবো। এই মুহুর্তে আমার একটাই দাবী .... 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' নামটা বদলিয়ে 'ডিজিবাল বাংলাদেশ' করা হোক। ধন্যবাদ।

Monday, May 6, 2013

ঈশপের গল্প (?)

ঈশপের লেখা রাখাল বালকের গল্পটা কি আপনারা জানেন? রাখাল বালক গ্রামবাসীদের সাথে হুদাই ফাপড় নিত। গ্রামে বাঘ না আসলেও গ্রামবাসীদের 'বাঘ বাঘ' বইলা ভয় দেখাইত। গ্রামবাসীরা বাঘ মারতে আইসা দেখত কোন বাঘ নাই। তারপর আসলেও একদিন বাঘ আসে।

যাইহোক, আমার ছোট ভাই অনেক আগে এই গল্পটা একটু ভিন্নভাবে লিখেছিল। সেই গল্পটা এখন আমি আরেকটু ভিন্নভাবে এখানে লিখলাম। গল্পের প্রথম অংশ আশাকরি আপনারা জানেন। তাই শেষ অংশটা দিলাম।

"অতঃপর গ্রামে একদিন আসলেও বাঘ আসিল ৷ ফাপড়বাজ রাখাল বালক 'বাঘ বাঘ' বলিয়া চিতকার করিবার পরেও গ্রামবাসী তাহাকে বেইল দিল না ৷ রাখাল বালক উপায়ান্তর না দেখিয়া একটি গাছে উঠিয়া গেল ৷ বাঘ রাখাল বালককে না খাইতে পারিয়া ফ্লপ মারিয়া গ্রামে ঢুকিল নতুন মুখের সন্ধানে ৷ অতি বুদ্ধিমান, মাতবর, অপ্রস্তুত গ্রামবাসীরা কিছু বুঝিবার আগেই বাঘ মামা তাহার ফ্রি বুফে লাঞ্চ (২০১ আইটেম, মোর ফুড আইটেম দ্যান ব্যাটন রুশয) তৃপ্তি সহকারে শেষ করিয়া ঢেকুর তুলিয়া বলিল, "আহ... দারুন খেলুম"! সৌভাগ্যবান ফাপড়বাজ রাখাল বালক গাছ হইতে নামিয়া পাশের গ্রামে গিয়া আশ্রয় নিল ৷ এন্ড দেন হি লিভস হ্যাপিলি এভার আফটার ৷



দ্যা মোরাল অব দ্যা স্টোরি: ফাপরবাজ রাই দীর্ঘজীবী

সোর্স: তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের সরকার ও বিরোধীদল সমূহ

Tuesday, April 23, 2013

আবদার

গান গাওয়ার সুবাদে অনেক ধরনের মানুষের সাথে বন্ধুত্ত হয়। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বেশ আপনও হয়ে যায় মাঝে মাঝে। এটার যেমন বেশ কিছু ভালো দিক আছে, আবার খারাপ দিকও আছে। অনেক ধরনের আবদার শুনতে হয়। "বস, আমার ভাই এর হলুদ। গিটার টা নিয়ে চলে আসবেন আগামিকাল। গান গাইতেই হবে কিন্তু"। এইসব 'সিচুয়েশন' সামলানো বেশ ঝামেলার। মানে ব্যপারটা অনেকেটা এরকম... কোন ডাক্তার এর সাথে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা হয়ে গেল। "ওহ আপনি ডাক্তার? শুনেন, আমার লাস্ট এক সপ্তাহ ধরে হাগু হচ্ছেনা। কি ওষুধ খাওয়া যায় বলুন তো?"। মানে কি! ডাক্তার দেখলি আর কন্সটিপেশনের কথা মনে পইরা গেল? হাগু হয় না তো বিরিয়ানি খাইতে আইছেন ক্যান ভাই? আমার বেশ কিছু কাছের মানুষ আছে যারা চমৎকার ফটোগ্রাফার। তাই বলে কি আমি তাদের গিয়ে বলব? "ওই শোন... আমার কন্সার্টের ছবি তুইলা দিস তো কয়েকটা। ভালো কইরা তুলবি। দেখতে যাতে টনি স্টারকের মতন দেহায়। বুঝছস?" যাইহোক, এইসব ব্যাপার নিয়ে মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে কিন্তু এটা আসলে তেমন বিরক্তিকর কিছু না। ব্লগ লিখতে হবে তাই একটু এক্সট্রা 'বিরক্তি' টপিং দিচ্ছি লেখাতে। এছাড়াও ব্লগ লেখার সময় একটু রাগ রাগ ভাব রাখতে হয়। এটার নিয়ম আছে। যাইহোক, অনেকবার 'যাইহোক' বলে কথা শুরু করলাম। অনেক কথা বললাম। এখন আমার এক ফ্রেন্ড এর সাথে আমার একটা টেলিফোনে কথোপকথন দিয়ে আজকের লেখা শেষ করছি। এটা লেখার পিছনে একটা কারন আছে। আজকে যেই বিষয় নিয়ে আলাপ করলাম, সেটার সাথে এই কথোপকথনের কিছুটা মিল আছে। আমার ফ্রেন্ড এর একটা 'আবদার' এর গল্প।


মুমু: সুমন ভাই, আপনাকে কতদিন ধরে বলতেসি আমার জন্যে একটা গান লিখেন! লিখেননা কেন?

আমি: গান দিয়ে কি করবা?

মুমু: ফ্রেন্ডদের শোনাব! আমার ভাব বাড়বে তাদের সামনে! বেসবাবা গান লিখসে আমার জন্যে বুঝছস?

আমি: ওহ... আচ্ছা! তোমার জন্য গান লিখসিতো অলরেডি :|

মুমু: সত্যি! শোনান.. শোনান! প্লিজ শোনান!

আমি: শোনাবো বাট এই গানটা তোমার ফ্রেন্ডদের তোমাকে অবশ্যই শুনাইতে হবে

মুমু: অবশ্যই শোনাব!

আমি: শিওর?

মুমু: আই প্রমিস!

আমি: ওকে... তাহলে শোন.....
'এম' যদি 'এন' হতো আর 'এক্স' যদি 'ওয়াই'
'মুমু' তখন পেতো মোদের আন্ডিতে ঠাই
সারাজীবন থাকতো সে যে অন্ধকারের মাঝে
ফেয়ার এন্ড লাভলী তার আর মাখতে হতো না যে

মুমু: আপনি অনেক খারাপ সুমন ভাই!!!!

আমি: থ্যাঙ্কস... আই ট্রাই মাই বেস্ট :-)


ফুটনোট: নুনু... থুক্কু... মুমু কথা রাখেনি! সে ফ্রেন্ডদের গানটি শোনায় নি! আর সঙ্গত কারণেই নুনুর... থুক্কু... মুমুর পরিচয় টা ডিটেইল এ দিলাম না। সবাই ভালো থাকবেন। :-)

Friday, April 19, 2013

ঘুমের পরে

আমার সার্জারি সাকসেসফুল। বাইচা গেলাম আল্লাহর রহমতে। আল্লাহ ক্যান জানি আমারে বার বার বিপদ থেকে বাঁচায়। আনেস্থশিয়া নিয়া আমার একটা জতিলতা আছে। জ্ঞ্যান ফেরার সম্ভাবনা কম থাকে।  তাই সার্জারি মানেই দৌড়ের উপর থাকো। যাইহোক, ব্যাক যখন করলামি, ব্লগ লেখাটা তো চালিয়ে যেতেই হবে। সেই কবে থেকে ব্লগ লিখে চলছি (না মানে ইয়ে... ১ সপ্তাহ হইসে মনে হয়)। এতো পুরনো একটা অভ্যেস তো আর এভাবে বন্ধ করা যায় না। গত মাসে সেন্ট মারটিন্স আইল্যান্ড গিয়েছিলাম বাংলাদেশ আবহাওয়া পরিদপ্তরের হয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজে (না মানে ইয়ে...হুদাই গেসিলাম ঘুরতে, এখন একটু ভাব লইতাছি)। সেখানের দুটো বিচ্ছিন্ন ঘটনাই বরং নিচে লিখি...

বিচ্ছিন্ন ঘটনা ০১
 সমুদ্র সৈকতে বসে বসে বাতাসের গান শুনছিলাম। অদ্ভূত এক ধরনের নিস্তব্ধতার গান। নারিকেল জিনজিরা আর কক্সবাজারের মধ্যে এখানেই পার্থক্য। প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়াটা অনেক সহজ এখানে। হঠাত এই নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে দূর থেকে লাউড স্পিকারে ভেসে আসল "বুরকা পুরা মেয়ে পাগল কুরেচে"... বাল!!

বিচ্ছিন্ন ঘটনা ০২
ছেড়া দ্বীপ। দাড়িয়ে দাড়িয়ে স্রষ্ঠার তৈরী অপূর্ব এক সৃষ্টি উপভোগ করছি। কিছুক্ষণ ধরে একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। কেউ যেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার আশেপাশে অনেক মানুষ। বোঝার উপায় নেই কেউ তাকিয়ে আছে কিনা। আমার হুডি পরা। কারো আমাকে চেনার কথা না। তারপরেও চারদিকে চোখ বুলাতে বুলাতে হঠাত খুঁজে পেলাম আমার এই অনুভূতির কারণ। অপরুপা এক সুন্দরী আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে! মনে হলো কে যেন আমার মাথার পেছনে চপেটাঘাত করলো! এরকম অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গায় কোনো মেয়েকে দেখে এরকম সুন্দর লাগতে পারে আমার কল্পনাতেও ছিলনা! একেই কি বলে 'লাভ এট ফার্স্ট সাইট'? হঠাত দেখলাম মেয়েটা আমার দিকে হেটে আসা শুরু করেছে। আমি কি ঘামা শুরু করলাম? সর্বনাশ... আমিতো মনে হচ্ছে নার্ভাস! বাবা সুমন... এতদিনে বুঝি আসলেও ধরা খেলে! মেয়েটা আমার সামনে এসে দাড়ালো। ঠোটে এক চিলতে হাসি। আমার হার্টবিট জঘন্য ফাস্ট! মেয়েটা হাসতে হাসতে কি জানি বললো... প্রথমে শুনিনি কারণ তখন কল্পনায় আমি তাকে নিয়ে পাংকর আইল্যান্ড এ হানিমুন করছি! আবার তার কথায় চপেটাঘাত খেয়ে বাস্তবে ফিরে এলাম !
 "বেইয়্যা আমি আফনের ফেন! একডা ফুডো তুলি?" .... বাল!

যাইহোক, অনেক কিছু লিখে ফেললাম। আমি বরং আজ যাই। সবাই ভালো থাকবেন। এবং আমার ব্লগ কোন অবস্থাতেই সিরিয়াসলি নিয়েন না। এমনকি আমার ব্লগের সাথে উন্মাদ পত্রিকা তুলনা করলে সেটা বাংলাদেশের বাজেট এর বই এর মত সিরিয়াস একটা জিনিস। আমার ব্লগ এতটাই 'হুদাই'। ধন্যবাদ।

Wednesday, April 17, 2013

ঘুমের আগে...

কি লিখা যায় ভাবছি বেশ কিছুক্ষন ধরে। আর ১৪ ঘণ্টা পর বেশ বড় একটা সার্জারি হবে আমার। অনেকেই জিজ্ঞেস করেছে, 'টেনশনে আছেন?'। সত্যি কথা বলতে আমি একদমি টেনশনে নাই। গত ৩ বছর যে পরিমান অস্ত্রপ্রচার আমার শরীরে হয়েছে, এটা এখন ডাল ভাত টাইপের ব্যাপার! কিন্তু তারপরেও কিছু 'ভাবের' কথা না লিখলেই নয়। হাজার হোক, অবশেষে ব্লগ খুলেছি... একটা ইজ্জত আছেনা? লল। আমি বরং ৪ টা লাইন লিখে দেই... মাথায় যা আসবে তাই লিখব... তাই ছন্দে নাও মিলতে পারে...

আমি কখনো ভাবিনি আজকের দিনের মুখমুখি হব আমরা দুজনে
আমি কখনো ভাবিনি অনভুতির মাঝে কাটাকুটি খেলবো অকারণে
আমি কখনো ভাবিনি সূর্যের দিকে চোখ দুটো না কুঁচকে অবিরাম তাকিয়ে চিৎকার করে বলব, 'বিদায়'
আমি কখনো ভাবিনি অশ্রুহীন কান্না ভরা চোখে, গল্প শেষে আমার শেলাই করা মুখে বলে উঠবো, 'ভালবাসি তোমায়'


আর ১৪ ঘণ্টা পর আমি ঘুমোতে যাবো। গভীর ঘুম। ঘুম ভাঙ্গার আগ পর্যন্ত এতটুকুই থাক?
সবাই ভালো থাকুন, এই কামনায় :)

রাইটার্স ব্লক

কি লিখব বুঝতে পারছিনা । মাথায় কিছুই আসছেনা আজ... আমার কখনই এরকম হয় না... লেখালেখির ব্যাপারে কোনো কার্পন্য নেই আমার... অনেকবার এখানে এসেছি কিন্তু এই প্রথম সেন্ট মার্টিন্স আইল্যান্ড এ এসে মনে হয় রাইটার্স ব্লক দ্বারা আক্রান্ত আমি! হঠাৎ করেই এক অপরিসীম কষ্ট অনুভূত হচ্ছে ! এই কষ্টের কোনো সীমা পরিসীমা নেই ! মনে হচ্ছে কে যেন মস্তিষ্কের কোষগুলোতে জানান দিচ্ছে, "যাও! এখনি যাও! আরেকটু দেরী হলে মস্তবড় বিপদে পরবে তুমি ! এই সুন্দর পৃথিবী হয়ে যাবে নোংরা ! ভরে যাবে দুর্গন্ধে ! তুমি এখনি যাও"! আমি উঠে দাড়ালাম মনে অনেক ভয় ও সংশয় নিয়ে... আমার কি দেরি হয়ে গেল ? আমি কি পারব সময়মত আমার গন্তব্যে পৌছুতে ?

দৌড় দিলাম টয়লেটে! আহ! কি শান্তি! পেটের ভিতরে জমাটবাধা অসহনীয় কষ্ট কোথায় যেন উবে গেল! ছোট্ট এই চার দেয়ালের ঘরে বসেই আসতে থাকলো নতুন নতুন শব্দ! নতুন নতুন কবিতা! নতুন নতুন গান! নো মোর রাইটার্স ব্লক! হাগু... তোমায় ধন্যবাদ! আর বেশি ঝাল দিয়ে চটপটি খাবোনা... আই প্রমিজ!

Sunday, April 14, 2013

এসো ফটোগ্রাফি শিখি


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০১
 হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। তোমরা যখন মেয়েদের ছবি অথবা হিজ্রা মার্কা ছেলেদের (যেমন রবার্ট কুলেন) ছবি খিঁচিবে তখন অবশ্যই সফট ফোকাস করিবে। আবার যখন ছেলেদের অথবা হিজ্রা মার্কা মেয়েদের (যেমন পিঙ্ক) ছবি খিঁচিবে, তখন শার্প ফোকাসে করিবে। এতে ছবি উন্নতমানের হইবে।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০২

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। ছবি খিঁচার সময় নিজের নাম ভুলিয়া গেলেও সমস্যা নাই। তবে কোন অবস্থাতেই কেম্রার ডায়ালে "A" এর পজিশন ভুলিতে পারিবেনা! মনে রাখিবে, ডায়াল A তোমাকে সব বিপদের হাত থেকে রক্ষা করিবে। শুধু মাথায় রাখিবে 'হাত রাখিবে স্থির'! এর ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে তুমি 'সেফ' ছবি খিঁচিতে পারিবে। পরবর্তীতে প্রিভিউতে গিয়া সেটিং দেখিয়া লইবে। সবাইকে বলিবে 'M' মোডে খিঁচিয়াছ।

এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৩
 হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। সাগর অথবা সুউচ্চ পাহাড়ের উপর দাঁড়াইয়া ছবি খিঁচার সময় যদি পুরা বডি কাপতে থাকে তখন "ট্রাইপোঁদ মেথড" ব্যাবহার করিবে। ট্রাইপড স্ট্যান্ড পোঁদে ঢুকাইয়া তাহার উপর বিনা ঝামেলায় স্থির থাকিয়া ছবি খিঁচার কৌশলকেই ট্রাইপোঁদ মেথড বলা হয়।

এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৪

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। কেম্রার ম্যানুএল পরিবার কোন দরকার নাই। মনে রাখিবে, "ক্যাম্রা চালানো বোঝার চেয়ে ফটোশপের ব্যাবহার বোঝা উত্তম"।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৫

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। তোমরা অন্যের ছবির প্রশংসা করা হইতে বিরত থাকো। যদি অন্যের ছবি অতিরিক্ত ভাল লাগিয়াই যায়, তবে সেই ছবি দেখিয়া কেম্রা অথবা লেন্স এর প্রশংসা করিবে, ছবির নয়। এতে তোমার 'সুশিল ফটোগ্রাফার' ভাবমূর্তি অক্ষুন্য থাকিবে।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৬

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। তোমরা সাদা রঙের লেন্স ব্যবহার করার চেষ্টা করিবে। বাজেট না থাকিলে লেন্স সাদা রঙ করিয়া লইবে। ইহাতে কাল রঙের লেন্স ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনিদের তুমি অনায়াশে ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স ও জেলাসিতে ভুগাইতে পারিবে। মনে রাখিবে অন্যের দুখ মানেই নিজের সুখ।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৭

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। কেম্রা যাই হউক না কেন, কেম্রার ব্যাগ হইতে হইবে আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি লেভেল এর। অর্থাৎ মারুতি ইঞ্জিনে ফেরারি বডিকিট।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৮

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। নিজের ছবি খিঁচার সেলফ পোরট্রেইট খিঁচিয়া অবশ্যই ফেসবুক প্রফাইল পিক হিশেবে দিতে হইবে। নতুবা তোমার মান, ইজ্জত, ভাব এর গোয়া মারা হইবে। ছবি সাদা কাল (ইংরেজিতে যাহাকে বলে B+W) হইলে ভাল হয়।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #০৯

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। লালাখাল, হোলি, গরিব দুখি, কাক ও অন্যান্য পক্ষি সমগ্র, ধান ক্ষেতে একটি বালিকা, ৬ ইঞ্চি পুরু মেকাপ সম্বলিত মেয়ে মডেল, স্লো শাটার স্পিডে সমুদ্রের ঢেউ, পোকামাকড় (এই ব্যাপারে স্রিমঙ্গল এর মাকরশা বেশ বিখ্যাত), ফিশাই লেন্স এ সংসদভবন, ইত্যাদির ছবি খিঁচা অপরিহার্য।


এসো ফটোগ্রাফি শিখি #১০

হে ডিএসএলআর ব্যবহারকারি/ব্যবহারকারিনি। তোমার ব্যাঙ্ক একাউনট না থাকিলেও অসুবিধা নাই, কিন্তু অবশ্যই, আমি আমার বলইতেছি, অবশ্যই ইন্সটাগ্রাম, ফ্লিকার, ডেভিয়েনআর্ট, ইত্যাদি তে একাউনট থাকিতে হইবে। মনে রাখিবে একাউনট থাকাটাই জরুরি, সেখানে ছবি থাকাটা নয়।

*সোর্সঃ ভেচভাভার উচ্চ ফটোগ্রাফির সিঁড়ি

Wednesday, April 10, 2013

Freedom of speech

চিন্তা করছি একটু 'ফ্রিডম অফ স্পিচ' চোদাবো :-/

Tuesday, April 9, 2013

পদ্য

তোমার ওই দু'চোখেতে কেন এত মায়া?
মনের ভিতর দেখি আজব ছায়ার মাঝে কায়া!
তোমায় যখন দিনের আলোয় দু'চোখ মেলে দেখি,
অন্যরকম গানের সুরে নতুন অনুভূতি!
তোমায় দেখে রাতের বেলায় যখন গেলাম কাছে,
কলার ছিলকায় পিছলা খাইলাম, না দেইখ্যা আন্ধারে!
ভাবছ তুমি শেষে এসে পদ্যের একি হাল?
তোর লেইগ্যা লিখি নাইক্ক্যা, আইছে চ্যাটের বাল!

Saturday, April 6, 2013

আমার কেম্রা, লালাখাল এবং হোলি

একটা সময় ছিল যখন ভাবসিলাম সিলেটের লালাখালে লাইন কইরা দাঁড়ানো নৌকার কয়েকটা ছবি তুললেই ফটোগ্রাফার হয়া যাইব। তাই নতুন ফুলফ্রেম ক্যাম্রা নিয়া দৌড় দিলাম সিলেট। কয়েকদিন পর ঢাকায় ফিরলাম পুরাই 'মারমার-কাটকাট' ফটোগ্রাফার হইয়া। মানে, ২ জিবি নৌকার ছবি তুইলা আনলাম। নৌকা দাড়ায় আসে, নৌকা হাটতাসে, নৌকা দৌড়াইতাসে, নৌকা ঘুমাইতেসে, নৌকা খেলতেসে, নৌকা লাগাইতেসে, নৌকা লংমার্চ করতেসে, নৌকা হরতাল করতেসে... মানে কিছুই বাদ নাই! আমিতো ঢাকা ব্যাক কইরা মহাখুশি। ভাবসাব পুরাই অন্যরকম! ছবি পোস্ট করার আগে ছবির কোনায় আবার লিখি 'ভেচভাভা ফুডুগ্রাফি' । মানে পুরাই ভাব! ফ্যানরাও কমেন্ট দেয়, "জোস ভচ জোস"! কিন্তু আমার এই ভাব বেশিদিন থাকলনা। কিছুদিন ধরে ফেসবুকের টাইমলাইন দেইখা যা বুঝলাম সেটা হইলো, আগেরদিন আর নাই! লালাখাল ইজ গন! বাজারে এসেছে নতুন সেন্সেশন!... হোলি!!! এখন আর আগের মত কেম্রা আর লালাখালের সামনে নৌকার ছবি থাকলে হইবনা। কিছু হোলির ছবি অবশ্যই থাকতে হবে! আর যদি একটা ছোট শিশু গায়ে মুখে রঙ মাইখা দাড়ায় আছে টাইপ ছবি যদি হয় তাহলে তো কথাই নাই! যতই যা খুশি করনা ক্যান! নো হোলি... নো কুল! আমার আবার ডিমশন হইলো! কিছুই করার নাই। এখন দেখি লালাখালের নৌকাগুলা ফটোশপে নিয়া সফটঅয়ার দিয়া আলগা রঙ বসাইয়া 'হোলি ইন লালাখাল' নামে কিছু করা যায় নাকি। হয়ত তাহলে বেপারটা বেশ হিট হইতে পারে! সবাই দোয়া করবেন। ধন্যবাদ।

প্রথম ব্লগ

শেষমেশ ব্লগ খুলেই ফেললাম। যাইহোক... এখন বরং যাই... কফি খাই। পরে আবার আসবো।